সমুদ্রের গভীরে কার রাজত্ব?

প্রকাশিত: ২:০৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২৫

সমুদ্রের গভীরে কার রাজত্ব?

সমুদ্রের গভীরে কার রাজত্ব? যুক্তরাষ্ট্র না রাশিয়া? বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং পারস্পরিক হুমকি-পাল্টা হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার কাছাকাছি। এতে দুই পরাশক্তির মধ্যে ফের ঠান্ডা যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে।

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র—দুই দেশই সমুদ্রতলে শক্তিশালী সাবমেরিন বহর গড়ে তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন শক্তি

মোট সাবমেরিন: ৫১টি

পারমাণবিক সাবমেরিন (SSBN): ১৪টি ওহাইও-ক্লাস, প্রতিটি বহন করতে পারে ২০টি ট্রাইডেন্ট-২ ক্ষেপণাস্ত্র।

অ্যাটাক সাবমেরিন (SSN): ভার্জিনিয়া-ক্লাস (২৪টি), সিউলফ-ক্লাস (৩টি), লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাস (২৪টি)।

ক্ষমতা: নিঃশব্দ চলাচল, সুনির্দিষ্ট পারমাণবিক হামলা, নজরদারি ও গুপ্ত অভিযান।

রাশিয়ার সাবমেরিন শক্তি

মোট সাবমেরিন: ৬৪টি

পারমাণবিক সাবমেরিন (SSBN): ১৪টি—এর মধ্যে ৮টি আধুনিক বোরেই-ক্লাস, বাকিগুলো ডেলটা-৪।

অ্যাটাক সাবমেরিন (SSN): ইয়াসেন-ক্লাস (৪টি), আকুলা-ক্লাস (৫টি)।

ক্ষমতা: দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, নিঃশব্দ চলাচল, মাইন স্থাপন ও অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধ।


কে এগিয়ে?

সংখ্যায়: রাশিয়ার সাবমেরিন বেশি।

প্রযুক্তিতে: যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন তুলনামূলক আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য।

আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা: উভয় দেশের সাবমেরিনই পরমাণু ও প্রচলিত অস্ত্রে সুসজ্জিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উভয় দেশের সামুদ্রিক শক্তিই বিপজ্জনক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নতুন উত্তেজনা এই প্রতিযোগিতাকে আরও জটিল করে তুলছে।

সর্বশেষ নিউজ