সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে ‘লাগাতার’ কর্মবিরতি শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চার সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস অনুযায়ী তিন দফা দাবির মধ্যে ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি এবং অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় পূর্বঘোষিত ৩০ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি আগে থেকে পুনর্নির্ধারণ করে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করা হচ্ছে। তিনি বলেন,
“অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটমেন্ট অনুযায়ী আপাতত ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।”
সহকারী শিক্ষকদের তিন মূল দাবি
-
দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ
-
১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন
-
সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ নামে আরও ১২টি সংগঠনের মোর্চা একই তিন দাবিতে তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন। সংগঠনটির সভাপতি শাহীনুর আল আমিন বলেন,
“দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রোববার ও সোমবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি। ১১ নভেম্বরের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করব।”
পূর্বের সংঘর্ষ ও আন্দোলন
৮ নভেম্বর ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর শিক্ষকেরা শাহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। বিকেলে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগোলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান, লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে শিক্ষকদের শহীদ মিনারে ফেরত পাঠায়। এতে কয়েকজন শিক্ষক আহত হন।
এরপর ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করে সরকার একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা সমাধানে আশ্বাস দিলে শিক্ষকেরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছিলেন।