
দুবাই:
সামির মিনহাসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভারতকে ১৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পাকিস্তানের করা ৩৪৭ রানের জবাবে ভারত গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৬ রানে।
ফাইনালে ১১৩ বলে ১৭ চার ও ৯ ছক্কায় ১৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। তাঁর ব্যাটিং দেখে একপর্যায়ে ম্যাচটি ওয়ানডে নয়, টি-টোয়েন্টির মতো মনে হচ্ছিল। অসাধারণ এই পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা ও টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার জেতেন ১৯ বছর বয়সী এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
সামিরের ঝড়ো ইনিংসেই ভারতের বিপক্ষে পাহাড়সম ৩৪৭ রান তোলে পাকিস্তান। বরাবরের মতো ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচটিও একপেশে রূপ নেয়।
সামির মিনহাস পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত মিনহাসের ছোট ভাই। দুই ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান মাত্র এক বছর। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া আরাফাত পাকিস্তানের হয়ে চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো অভিষেক না হলেও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নজর কাড়ছেন সামির।
মুলতানের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৩ ক্রিকেট দিয়ে শুরু করে দক্ষিণ পাঞ্জাব অনূর্ধ্ব-১৬ এবং মুলতান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। চলতি এশিয়া কাপে পাঁচ ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটির সাহায্যে ৪৭১ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হন সামির।
এর আগে দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ১৪৮ বলে অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
ফাইনালের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সামির বলেন, ‘দারুণ একটা ইনিংস ছিল। এমন বড় ইনিংস খেলার পরিকল্পনা ছিল। আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চেয়েছি। ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচটা আমার জন্য খুবই স্মরণীয়।’
উল্লেখ্য, জাতীয় দল এশিয়া কাপে রানার্সআপ হলেও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে পাকিস্তান। গত নভেম্বরে হংকং সিক্সেস ও রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ—দুটি টুর্নামেন্টেই শিরোপা জেতে তারা। এসব টুর্নামেন্টে খাজা নাফে, আব্দুল সামাদ, আব্বাস আফ্রিদি ও মাজ সাদাকাতদের পারফরম্যান্স পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটের জন্য আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিচ্ছে।