সিএনজি স্ট্যান্ডে জনদুর্ভোগ বাড়ছে

প্রকাশিত: ১১:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৫

সিএনজি স্ট্যান্ডে জনদুর্ভোগ বাড়ছে

সিলেট নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় অবস্থিত শিশুপার্কের সামনের সড়কে গড়ে উঠেছে একটি অনিয়ন্ত্রিত সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড, যা দিন দিন সাধারণ পথচারী ও যানবাহন চলাচলের জন্য বড় ধরনের সমস্যায় পরিণত হচ্ছে।

 

 

ট্রাফিক পুলিশের বাঁশ বা ব্যারিকেড বসিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এই স্ট্যান্ডের কার্যক্রম।

 

দেখা যায়, অন্তত ১০-১৫টি সিএনজি সেখানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। যাত্রীদের তোলার প্রতিযোগিতায় চালকরা রাস্তায় দ্বিগুণ জায়গা দখল করে ফেলছেন। এতে ওই এলাকার যান চলাচলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, বিশেষ করে অফিস ও স্কুল-কলেজগামীদের জন্য।

 

পথচারীদের অভিযোগ, ফুটপাতেও এই চালকরা গাড়ি তুলে রাখায় হাঁটার জায়গাটুকুও পাওয়া যায় না।

 

স্থানীয় ব্যবসাহীরা  বলেন,  “প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচণ্ড জ্যাম লেগে থাকে। অনেকবার পুলিশ এসে সরালেও কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার চালকরা জড়ো হয়ে পড়ে।

 

স্থানীয়দের দাবি, শিশুপার্কের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই অনিয়ন্ত্রিত সিএনজি স্ট্যান্ড শুধুমাত্র ট্রাফিক ব্যবস্থাকেই নয়, বরং শিশু ও অভিভাবকদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। তাঁরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

 

দিন দিন নগরীতে বেড়েই চলেছে যানজট। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যা বেলায় প্রধান প্রধান সড়কে তীব্র যানজটের কারণে জনসাধারণকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। নগরবাসীর অভিযোগ, অব্যবস্থাপনা, অবৈধ পার্কিং এবং যথাযথ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ না থাকাই এর প্রধান কারণ।

জানা যায়, নগরীর বন্দরবাজার,শিশুপার্কের সামন, আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা ও কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। অনেক সময় ৫-১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লাগছে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত। এতে করে অফিসগামী মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলো মারাত্মক সমস্যায় পড়ছে।

 

এদিকে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সঠিক নগর ব্যবস্থাপনা, বিকল্প সড়ক নির্মাণ, স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগনাল ও গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

নগরবাসীর প্রত্যাশা, কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে সিলেটের যানজট সমস্যা দূর করবে, যাতে করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, “যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। কিন্তু শহরে যানবাহনের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, সে তুলনায় অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। এছাড়াও নাগরিকদের সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

 

 

 

যানজটের পেছনে মূলত তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন ট্রাফিক বিভাগ:সড়কে অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশা ও অটোরিকশা,রাস্তার পাশেই অবৈধ পার্কিং,উন্নয়ন কাজ চলাকালীন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ঘাটতি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ