১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটের জৈন্তাপুরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি ১০ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

admin
প্রকাশিত ৩১ জানুয়ারি, বুধবার, ২০২৪ ২১:০৩:৪২
সিলেটের জৈন্তাপুরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি ১০ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

Manual5 Ad Code

সিলেটের জৈন্তাপুরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি ১০ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ।

Manual2 Ad Code

 

সিলেট প্রতিনিধি:-  সিলেটের জৈন্তাপুরে সাংবাদিকের ওপর প্রকাশ্যে হামলা ও হত্যার হুমকির ঘটনায় ১০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রেকড করেনি জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ।

জানাযায়, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক,মো. দুলাল হোসেন রাজু ,দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি। গত ২০ জানুয়ারী নিজ বাড়ি থেকে আনন্দ বাজার যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বাওন হাওড় এলাকার অভিযুক্ত হাফিজ উদ্দিনর বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় পৌছা মাত্র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মো. রুহুল,মো.,ইয়াছিন,মো. মুকবুলসহ অঞ্জাত নামা আরো কয়েকজন সাংবাদিক রাজুর পথ গতিরোধ করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। প্রতেক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সহয়তায় রাজু কে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংবলিত বিষয় উল্লেখ করে ঘটনার দিন গত ২০ জানুয়ারী বিকাল সাড়ে ৪ টায় জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভূক্তভোগী ওই সাংবাদিক।

Manual4 Ad Code

জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিলের পর আসামীরা ক্ষিপ্ত পুনরায় গত ২১জানুয়ারী বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আনন্দ বাজারে একটি রেস্টোরেন্টে বসে চা খাওয়ার সময় অভিযুক্তরা এবং তাদের আত্নীয় স্বজনসহ চোরাকারবারীদের সাথে নিয়ে পুনরায় রাজুকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে প্রানে হত্যার চেষ্টা করে বিষয়টি বাজার কতৃপক্ ও সাধারণ লোকজন প্রতিবাদ করলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অভিযুক্তরা ।

ঘটনার সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কমরত কয়েক জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। অকথ ভাষায় গালি-গালাজসহ হামলার ভিডিও ফুটেজ থানা পুলিশকে দেওয়া হলেও ঘটনায় জড়িত কাউকেই গ্রেফতার না উল্টো ওই সাংবাদিককে নারী নিযাতন মামলায় আসামী করার ভয় দেখায়। থানা পুলিশ পকপাতের করে ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক’র দায়ের করা মামলাটি ১০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পযন্ত রেকড করেনি।

ভূক্তভোগীর অভিযোগ, সম্প্রতি সময়ে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় চোরচালান সিন্ডিকে চক্রের দৌরাত্ন বৃদ্ধি, থানা পুলিশের লাইনম্যান পরিচয়ে চাদাবাজি, সীমান্তে বাড়ছে চোরাচালান, থানা পুলিশকে চাদা দিয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু লুঠ,পাহাড় ও টিলা কেটে পাথর উত্তোলন, সরকারী সম্পদ লুঠ।বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায়,জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি মো.তাজুল ইসলাম,সাংবাদিক রাজুকে সংবাদ প্রকাশ করতে নিষেধ করেন।

Manual4 Ad Code

ওসি তাজুল ইসলাম’র নিষেধ অমান করে সাংবাদিক রাজু, চোরাচালান বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধমে সংবাদ প্রকাশ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি তাজুল ইসলাম,ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু লুঠকারী ও চোরাকারবারীদের পরামর্শ প্রকাশ্যে উচকানী দিয়ে সাংবাদিক রাজু’র ওপর হামলা করিয়েছে যে কারণে প্রকাশ্যে হামলা ও হত্যার হুমকির ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্তেও মামলা নেয়নি ওসি তাজুল । হামলার সময় অভিযুক্তদের মূখ থেকে শোনা গেছে জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম নাকি বলছে ,সাংবাদিক রাজু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সারী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৪০ লাখ টাকার মামলা করেছে। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক রাজু বলেন, আমি কারও বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকার মামলা করিনি। তিনি আরো বলেন,ওসি তাজুল ইসলাম’র মিথা চারিতা, উসকানি এবং তার কুপরামশের কারণে গত ২০ জানুয়ারী তার ওপর হামলা হয়েছে ।

Manual4 Ad Code

তিনি বলেন,এঘটনার দায় ওসি কোন ভাবেই এড়োতে পারবেনা।অভিযুক্তদের ভাষ মতে ভিডিও ফুটেজে পযালোচনা করলেই এর সততা বেড়িয়ে আসবে। এর আগেও অথাৎ গত ২৬ আগষ্ট ২০২৩ ইং পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ডিবি পুলিশের সামনেই চোরাকারবারীর লাইনম্যান মুজিবুর রহমান সাংবাদিক রাজু ও একই এলাকার আব্দুল বাছেদ মিয়াকে হত্যার হুমকি দেয়।এঘটনায় সাংবাদিক রাজু ও বাছেদ মিয়া বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তারা কোন প্রতিকার পায়নি। বরং অভিযোগটি রেকড না করে উল্টো চোরাকারবারীর লাইনম্যান পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী মুজিবের পক্ষ নিয়ে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় ওসি তাজুল ইসলাম। অথচ জৈন্তাপুর থানার ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে ভারতীয় অবৈধ গরু-মহিষের চালান,মাদকের চালান, বালু লুন্ঠনকারীদের নিকেট থেকে লাখ লাখ টাকা চাদা আদায় করছে এমন তথ্যচিত্রসহ একাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলেও ধরা ছোয়ার বাইরে গেছে মুজিব। লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। তাই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অপরাধীদের পক্ষে জৈন্তাপুর থানার ওসির অবস্থান নেওয়া মোটেও বোধগম্য নয়। লিখিত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহিবুর রহমান ঘটনার একাধিক স্বাক্ষীর সাক্ষ্য ও ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পাওয়ার পরও সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য কুপ্রস্তাবের একটি নাটক মঞ্চায়িত করার চেষ্টা করছে।

জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম অপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে চোরাকারবারীদের দিয়ে সাংবাদিক রাজুকে হত্যা করে লাশ ঘুমসহ বিভিন্ন মিথ্যে মামলা হামলায় জড়িত করবে বলে বিভিন্ন লোকজনের নিকট বলাবলি করছে।এতে করে সাংবাদিক রাজু ও তার পরিবারের লোকজন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমন অভিযোগের পেক্ষিতে গত ২৮ জানুয়ারী ২০২৪ ইং জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি মো.তাজুল ইসলাম’র বিরুদ্ধে,মহা পুলিশ পরিদর্শক-বাংলাদেশ পুলিশ, উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ সুপার,বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে জৈন্তাপুর মডেল থানায় সাংবাদিক রাজু’র দায়েরকৃত মামলাটি নথিভুক্ত না হওয়ার বিষয়ে জানতে ওসি মো.তাজুল ইসলাম’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।