সিলেট ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:১৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৫
সিলেটের জৈন্তাপুর বাজারে বৈধ হয় ভারতীয় চোরাচালানের পশুর হাট
জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সদর বাজারে বৈধ হয় ভারতীয় পশু। প্রতিদিন ২ হতে ৩ শতাধিক পশু সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করে জৈন্তাপুর বাজারে। বাজার হতে বৈধ চালান নিয়ে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন বাজার সহ সিলেট ও বিভিন্ন জেলায়। সংশ্লিষ্টরা নিরব ভূমিকায়।
সরজমিন ঘুরে যানাযায়, কিছুদিন পূর্বে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারে সাড়াশী অভিযান পরিচালনার পর হতে ধীরে ধীরে জৈন্তাপুর বাজার হয়ে উঠে চেরাচালানের বৈধ হাট। আগামী কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে জৈন্তাপুর উপজেলার থাঁসিহাওর, আলুবাগান, মোকামপুঞ্জি, শ্রীপুর, বাননঘাট, থড়মপুর, ছাগলখাউরী, আদর্শপ্রাম, মিনাটিলা সুপারীবাগান, রাবার বাগান, কেন্দ্রী মন্দির, কেন্দ্রীহাওর, লম্বাটিলা, ডিবিরহাওর, ডিবিরহাওর ফরিদের বাড়ী, ডিবিরহাওর আসামপাড়া, মহেষমারা, ঘিলাতৈল, তলাল, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা, করিমটিলা, কমলাবাড়ী, ভিতরগোল, গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, হর্নি, জালিয়াখলা, কালিঞ্জি, সারীনদীর মুখ, লালমিয়া-অভিনাশের টিলা, জঙ্গীবিল, আফিফা নগর, বাঘছড়া, তুমইর, বালীদাঁড়া, ইয়াংরাজা, সিঙ্গারীরপাড় এলাকা দিয়ে প্রবেশ করছে ভারতীয় নানান পন্য সামগ্রী।
পণ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় চিনি, প্রসাধনী সামগ্রী, সুপারী, মাদক সামগ্রী (মদ-ইয়াবা-গাজা-ফেন্সিড্রিল), ভারতীয় শাড়ী, লেহেঙ্গা, মটর সাইকেল, টাটা গাড়ীর যন্ত্রাংশ, আমদানী নিষিন্ধ শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, চা-পাতা, ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষধ সামগ্রী, বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল হ্যান্ডসেট, ভারতীয় কার গাড়ী ও গরু-মহিষ-ছাগল চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলািদেশে নিয়ে আসছেন চোরাকারবারীরা। এদিকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর অভিযানে ইতোমধ্যে জৈন্তাপুর বিভিন্ন স্থান হতে মাদক দ্রব্য সামগ্রী আটক করা হলেওল দেদারছে বাজারে প্রবেশ করছে ভারতীয় গরু-মহিষ-ছাগল। বাজার হতে এসব গরু মহিষ বৈধ্য কাগজ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজার সহ সিলেট ও জেলার বাহিরে প্ররণ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, বিজিবির লাইনম্যান বা সোর্স বর্তমান জৈন্তাপুর বাজারের ইজারাদার
ঘিলাতৈল গ্রামের মৃত হাজী মছদ্দর আলীর ছেলে আব্দুল করিম ওরফে বেন্ডিজ করিম (৪৭), কেন্দ্রী হাওর গ্রামের মৃত মোস্তাকিন আলীর ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩৮), মাসুক মিয়া (৩৫), গোয়াবাড়ী গ্রামের কালা রাজার ছেলে রোপা মিয়া (৩৫), গৌরী শংঙ্কর গ্রামের তমন মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৪৫), হর্নি (বাইরাখেল) গ্রামের মৃত মহরম আলী ছেলে মো. আব্দুল মালেক ওরফে আব্দুল (৪৭), ঘিলাতৈল গ্রামের মৃত হাসন আলীর ছেলে জালাল উদ্দিন মনা (৩৫), যশপুর গ্রামের বেলাল আহমদের ছেলে বশির আহমদ (৪৮), গোয়াবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল এর ছেলে জসিম উদ্দিন (৪৭), উজানীনগর গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে আব্দুস শুকুর (৪৮), রুপচেং গ্রামের আলীম উদ্দিন মোল্লা (৩২), বাইরাখেল গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে শাহিন (৩৫), রুপচেং গ্রামের কালাি মিয়ার ছেলে এনাম মিয়া (৩৫), কদমখাল গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২৮), ফুলবাড়ী গ্রামের মনসুর আহমদ এর ছেলে সুজন আহমদ (২৫), ডিবির হাওর গ্রামের আয়না মিয়ার ছেলে নাহিদ (২৫), ডিবির হাওর গ্রামের মৃত আঙ্গুলকাটা মালেকের ছেলে হেলাল আহমদ (২৮), ডিবির হাওর গ্রামের আজির উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার (২৮), দরবস্ত মানিকপাড়া গ্রামের বিলাল আহমদ (৪৮), রুপচেং গ্রামের জাকারিয়া (৩০) এর নেতৃত্বে জৈন্তাপুর বাজারে সীমান্তের বিভিন্ন পথ ধরে গরু-মহিষ, মাদক সমাগ্রী, কসমেট্রিক্স, চা-পাতা, মটর সাইকেল, নাছির বিড়ি, ইয়ায়া, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ভারতীয় ঔষধ সামগ্রী বাজারে প্রবেশ করছে বলে স্থানীয়রা জানান। বিজিবির লাইনম্যান ও নিজে চোরাচালান ব্যবসায়ী হওয়াতে এছাড়া ১৪৩২ সনের জৈন্তাপুর গরুর বাজার ইজারাদার নিযুক্ত হওয়ায় একক আধিপত্য বিস্থার করে বাজারে গরু মহিষ প্রবেশ করছে। আব্দুল করিম ওরফে বেন্ডিজ করিম নিজে ইজারাদার ও বিজিবির লাইনম্যান হওয়ার কারনে এখন উল্লেখিত চোরাকারবারীদের নিয়ে জৈন্তাপুর বাজার হতে বৈধ চালান নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজার সহ সারাদেশে প্রেরণ করা হয়। বিনিময়ে প্রশাসনের নামে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করছে চক্রটি।
এলাকাবাসী আরও জানান, হরিপুর বাজারে অভিযানের পর হতে সীমান্তের জৈন্তাপুর বাজার এখন চোরাকারবারীদের নিয়ন্ত্রনে ব্যবসা পরিচালনা করছে। উল্লেখ্য জৈন্তাপুর উপজেলায় গরু-মহিষ বাজারজাত করনে কোন খামার নেই। তবুও জৈন্তাপুর বাজারে প্রতিদিন শত শত ভারতীয় গরু মহিষ বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রয় হচ্ছে। জনগনের প্রশ্ন খামার বিহীন এলাকায় গরু-মহিষ কোথায় হতে আসছে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান বলেন, সীমান্তের অতি নিকটে বাজার হওয়ার পরে পুলিশ অভিযান পরিচালনা অভ্যাহত রেখেছে। তবে সীমান্তের বিষয়টি অন্যান্য বাহিনীর দেখবাল করছে বলে জানান।
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by DHAKA-HOST-BD