সিলেটে জটিল রোগে আক্রান্ত ১০০ রুগেআক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সহায়তা চেক বিতরণ

প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৫

সিলেটে জটিল রোগে আক্রান্ত  ১০০ রুগেআক্রান্তদের মধ্যে  চিকিৎসা সহায়তা  চেক বিতরণ

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া:

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর উদ্যোগে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে

“ক্যান্সার কিডনি লিভারসিরোসিস,” জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়ার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তার কর্মসূচির “আওতায় প্রথম ধাপে ১০০ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে মোট ৫০০ জন রোগীকে আড়াই কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে ৩৫০ জন রোগীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে তাদের চেক প্রদান শুরু হয়েছে। বাকি ১৫০ জনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান।”

সিলেট জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক মোঃ আব্দুর রফিক জানান, “সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তা কর্মসূচিতে সিলেটে এখন পর্যন্ত ৪,৯৬৯ জনের চেক শতভাগ বিতরণ করা হয়েছে। এই ছয়টি জটিল রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা ব্যয়ে বহনে নিঃস্ব হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। পঞ্চাশ হাজার টাকার এই সহায়তা তাদের জন্য আশার আলো ও ভরসা।

 

 

 

 

 

 

 

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা: মাহবুবুল আলম এর সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাইনোকলজি এন্ড অবস্টেট্রিকস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জামিলা খাতুন৷নেফ্রলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ধ্রুব দাস,কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুখলেসুর রহমান,সহযোগী অধ্যাপক ও নাক-কান-গলা হেড-নেক বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুল হুদা নাইম, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ধ্রুব দাশ সিলেট জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ পরিচালক মো: আব্দুর রকিব, সমাজসেবা অফিসার জাহানারা বেগম। সকলেই এই উদ্যোগকে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা সংগ্রামে রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপূর্ণ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

লিভার সিরোসিস কী?
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, যখন লিভারের রোগের নানা পর্যায়ের পর কোষগুলো এমনভাবে আক্রান্ত হয় যে, লিভার আর কাজ করতে পারে না, সেই পর্যায়কে লিভার সিরোসিস বলে বর্ণনা করা হয়।

থ্যালাসেমিয়ার:

থ্যালাসেমিয়ার প্রধান লক্ষণ হল শরীরে রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) এবং এর কারণে দুর্বলতা, ক্লান্তি, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, হাড়ের গঠনগত পরিবর্তন, প্লীহা বৃদ্ধি, এবং শরীরে অতিরিক্ত আয়রন জমা হতে পারে, যা অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণগুলো সাধারণত রোগের তীব্রতা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির বয়সের উপর নির্ভর করে। কিছু ক্ষেত্রে, লক্ষণগুলো মৃদু হতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে।

 

উল্লেখ্য, রোগাক্রান্ত ব্যক্তি নিয়ে একটি পরিবার অনেক সময় অসহায় বোধ করে। অসহায় গরীব পরিবার জটিল রোগ আক্রান্তদের নিয়ে পড়ে মহাবিপদে । সমাজের কেউ কেউ সহায়তায়এগিয়ে আসলেও কেউ কেউ সহায়তা চাইলে হয় বিরক্ত। নিজের রোগীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য সহায়তা চাইতে গিয়ে শুনতে হয় নানা কথা। একটি রোগীর কারণে পরিবারের লোকজনের আহার নিদ্রা পর্যন্ত বিপন্ন হয়।
শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করেও আপনজনকে রোগ মুক্ত করতে চেষ্টা করে সকলেই প্রাণপণ।
জটিল কে আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তা সরকারের একটি মহতী উদ্যোগ। সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন থেকে এ সেবা দিয়ে যাচ্ছে রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের কে।
তবে সচেতন মহলের দাবি প্রকৃত অসহায় ব্যক্তি চিকিৎসা সহায়তা পেলে উপকৃত হবে । যাচাই বাছাই করে অসহায়দের যেন দেয়া হয় এ সহায়তা।

সর্বশেষ নিউজ