সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটে অচলাবস্থা

প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৫

সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটে অচলাবস্থা

সিলেটে জেলা প্রশাসকের অপসারণ, পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া এবং শ্রমিক হয়রানি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর থেকেই সিলেটজুড়ে নেমে এসেছে অচলাবস্থা।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। ফলে কদমতলী ও কুমারগাঁও টার্মিনালসহ জেলার বিভিন্ন রুটে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।

সকাল থেকেই যাত্রীরা বিভিন্ন টার্মিনালে এসে ভিড় করলেও বাস না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। বাস কাউন্টারগুলোর কর্মকর্তারাও যাত্রীদের জানাতে পারেননি কবে নাগাদ ধর্মঘট প্রত্যাহার হতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

ধর্মঘট আহ্বানকারীরা জানিয়েছেন, তাদের ৬ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে।

এদিকে, চলমান অচলাবস্থা নিরসনে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। সিলেট জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া জানিয়েছেন, বিকেল ৩টায় বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে পরিবহন নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:

১. সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮-এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন বাতিল করে বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ২৫ বছর এবং সিএনজি ও লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছরের ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ বাতিল।

২. সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং সনাতন পদ্ধতিতে পাথর-বালু উত্তোলনের অনুমতি প্রদান।

৩. বিআরটিএ কর্তৃক ফিটনেস সনদে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল এবং পরিবহন ও পণ্য পরিবহনে আরোপিত অতিরিক্ত কর প্রত্যাহার।

৪. সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুৎ মিটার ফেরত এবং ক্ষতিগ্রস্ত মিলের ক্ষতিপূরণ ও বাজেয়াপ্ত বালু-পাথরের ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

৫. সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার।

৬. সড়কে পণ্যবাহী গাড়িচালকদের হয়রানি বন্ধ।

সিলেটবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে বিকেলের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত আসে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ