এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া : সিলেট সিটি কর্পোরেশন হকারদের জন্য নির্ধারিত স্থান ব্যবস্থা করে দিলেও সেখানে সকল হকার না গিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বন্দর , জিন্দাবাজার সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ফুটপাত দখল করে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
বিশেষ করে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারএর সম্মুখ সহ বেশ কয়েকটি স্থানে সন্ধ্যা নামলেই ফুটপাত দখল করে চলে বিভিন্ন রকমের ব্যবসা। এই ব্যবসায়ীদের আবার রয়েছে নির্দিষ্ট সিন্ডিকেট।
একটি বিশেষ মহল শেল্টার দেয়ার কারণে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক দেয়া নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দেয়ার পরও যাচ্ছে না হকাররা বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: রেজাউল করিম পিপিএম – সেবা এর নির্দেশনায় জনসাধারণের সুবিধার্থে ফুটপাত দখল মুক্ত করতে নিয়মিত চলছে বিশেষ অভিযান। উপকৃত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
জানাযায়, লাগামহীন যানজটের কারণে নগরবাসী সন্ধ্যা নামলেই সিলেট মহানগরে পরে বিপাকে। এর কারণ হচ্ছে ফুটপাতের দোকানীরা।
গেল এক সপ্তাহ থেকে জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হাসানের দিক নির্দেশন অনুযায়ী চলছে নিয়মিত অভিযান।
এ অভিযানে যেমন রাস্তায় চলাচলের জনগণের সুবিধা হচ্ছে তেমনি ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট স্থানে যেতে অনেকেই শলা- পরামর্শ শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও মহা নগরীর বিশেষ পয়েন্টগুলোতে যানজট না হওয়ার কারণে পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের কবল থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাচ্ছে সম্মানিত নাগরিকরা । কারণ অতিরিক্ত ভীড় হলে সে সুযোগে মোবাইল টাকা পয়সা চুরির ফন্দি করে থাকে পকেটমাররা।
সিলেটপুলিশ ফাঁড়ি আইসি এবাদুল্লাহ জানান,
দীর্ঘদিন থেকে আমাদের বন্দর ফাঁড়ির কার্যালয় লন্ডভন্ড । পুলিশি কার্যক্রম চলছে কোতোয়ালি থানা থেকে । আমরা যারা বন্ধ এলাকার দায়িত্বে আমরা প্রায় সময় ঘুরাঘুরিতেই থাকি এসয় চিহ্নিত ছিনতাইকারী পকেটমারদের দেখলে ধাওয়া দিয়ে থাকি। এতে করে বর্তমানে এ এলাকায় এদের উপদ্রব কমেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হাসান জানান,সন্ধ্যা নামলেই ফুটপাত দখল করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন যাতে না ঘটে সে লোককে ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে পুলিশ নিরলস পাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিদিন এ অভিযানে থানা, বন্দর ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইন থেকপ ৪০-৫০ জন পুলিশ সদস্য অংশ অংশ নিয়ে তাকে।
সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি মিডিয়া সাইফুল ইসলাম জানান, সিলেট সিটি কর্পোরেশন হকারদের জন্য তার নির্ধারণ করে দেয়ার পরও কিছু হকরা অদৃশ্য কারণে সেখানে যাচ্ছে না। পুলিশ ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু এটি সাপ লুডুর খেলার মত পুলিশের দিকে অভিযান করছে অন্যদিকে তারা বসছে।
আমাদের কমিশনার স্যার এর নির্দেশে জনসাধারণের সুবিধার্থে ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে। হ্যাপি কন্টিনিউ চলবে।