এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া:
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে জাতীয়তাবাদী বাউল দল সিলেট জেলা শাখা। পহেলা সেপ্টেম্বর রাতে হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহ আলাইহি মাজার সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে কেক কেটে ও মিষ্টি বিতরণ করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তারা। পরে রাত ব্যাপী চলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
[video width="848" height="478" mp4="https://sylheterbarud.com/wp-content/uploads/2025/09/WhatsApp-Video-2025-09-02-at-22.50.49_908a28bf.mp4"][/video]
বাউল দলের সিলেট জেলা আহ্বায়ক মুক্তার আহমদ বকুলের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা জাসাস এর আহবায়ক লাউয়াই নুরজাহান মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার। তিনি বলেন,জিয়া পরিবারের গান করায় শেখ হাসিনার আমলে বাউলরাও রক্ষা পায়নি পুলিশি নির্যাতন থেকে ।
তিনি বর্ণনা দেন আওয়ামী লীগের আমলে তার ঊপর নেমে আাসা জুলুম নির্যাতনের। স্মরণ করেন প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও
নিখোঁজ বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা এম ইলিয়াস আলী কে।
জেলা বাউল দলের সদস্য সচিব বাউল নোমান উদ্দিন রিপন ও কন্ঠ শিল্পী এম এ জাহিদ হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন সিলেট জেলা জাসাসের সদস্য সচিব রায়হান এইচ খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাউল দল কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা ফিরোজ আহমদ, সিলেট জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম স্বপন।
আলোচনা সভা ও জাতীয়তাবাদী শিল্পী সমাজের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সঙ্গীত সন্ধ্যা। এতে জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন রাত ব্যাপী চলে জাতীয়, দলীয়, ও সিলেটি সংস্কৃতি গানের আড্ডা। অনুষ্ঠানস্থল মিলন মেলায় পরিণত হয় সিলেটি জাতীয়তাবাদী বাউলদের।
একে একে বাউলরা আওয়ামী লীগের সময় গ্রেফতার ও নির্যাতনের বিষয়ে নিজেদের ওপর নেমে আসা পুলিশি নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন।
জেলা বাউল দলের সদস্য সচিব বাউল নোমান
উদ্দিন রিপন বলেন, বাউল হলে সমস্যা নাই কিন্তু আমি বাউল দলের হওয়ায় আওয়ামী লীগের সময় সিলেটের কোতোয়ালি থানার ওসি আলী মাহমুদ আমাকে আমার দোকান থেকে তুলে নিয়ে যান। আমি কোন সময় কারাবরণ করি নাই, আমার স্ত্রী -সমন্দি মিলে
ওসিকে এক লক্ষ টাকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয় আমাকে। এনে ঘটনা আরো খারাপ হয় কয়েকদিন পর আবারো আমার দোকান থেকে তোলে নিয়ে যায় ওসি আমি থানার হাজতে শুয়ে থাকি।
আবারো ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। আমি বলি এক টাকাও দেবো না, কি করবা কর। তখন আমার ওস্তাদ লন্ডনে আওয়ামী লীগের লোকদের সাথে যোগাযোগ করে সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক পুলিশ কমিশনারের যোগাযোগ করলে সহ আমাকে আবারো তাহাজ্জত থেকে মুক্তি দেওয়া হয় । ওসি গালিগালাজ করে বলে শালা বিএনপি করে আওয়ামী লীগের লোকদের সাথে ও যোগাযোগ আছে।
বাউল দলের সিলেট জেলা আহ্বায়ক মুক্তার
আহমদ বকুল বলেন শেখ হাসিনার আমলে আমার নিজের উপর ২০ থেকে ২৫টি মামলা দেয়া হয়েছে। এখানে প্রথম সারির এমন কোন নেতা নাই উপর মামলা হয় নাই। অথচ দাবি করেন যতগুলো মামলা হয়েছে কোন মামলায় আজহার এ দেয়া ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা বা উপস্থিতি ছিল না।