সিলেটে বেপরোয়া পাথর খেকোরা।। হাইকোর্টে ১৭ আগস্ট আরেকটি রিটের শুনানি। #আপন ঠিকানায় ফেরত আসছে সাদা পাথর #

প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৫

সিলেটে বেপরোয়া পাথর খেকোরা।। হাইকোর্টে ১৭ আগস্ট আরেকটি   রিটের শুনানি।  #আপন ঠিকানায়  ফেরত আসছে সাদা পাথর #

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া :

সিলেটে একসময় ভূমি খেকোদের প্রভাব ছিলো খুব বেশি। কিন্তু পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বেড়েছে পাথর খেকোদের প্রভাব। এতে মব জাস্টিস, পরিবেশ পরিস্থিতি, আর রাজনৈতিক অস্থিরতারকারণে প্রশাসন ও সচেতন মহল অনেক বিষয়ে দেখে ও না দেখার বান করে চলছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই পরিবেশের দোহাই আর সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসক বর্তমানে পলাতক থাকা এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এর নাটকিয়তা ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রকৃত পাথর ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত দিতে বসেছিল। তৎকালীন সময় খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব পর্যন্ত বলছিল সিলেটে পাথর নিয়ে আইনি কোন জটিলতা নেই এটা জেলা প্রশাসকের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা। যদিও আওয়ামী লীগের সময়ও কেউ কেউ পাথর রাজ্যের তলদেশ পর্যন্ত খোদে বৈধ অবৈধ উপায়ে পাথর উত্তোলন করে আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ হয়েছে । সিলেটের আদালত পাড়ায় আওয়ামী লীগের পাথর লিযাকত বাহিনীর হাতে দৈনিক যুগান্তরের সিলেট ব্যাুরো অফিসের সিনিয়র ক্যামেরা পার্সন মামুন সেদিন হামলা শিকার হয়েছিলেন। বেশ কিছু মিডিয়ার সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে পাথর খেকো দের হামলার শিকার হয়েছেন যদিও জীবন দিতে হয়েছে অনেক শ্রমিককে। পকেট ভারি হয়েছে সিলেটের অনেক রাজনৈতিক নেতার ও।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অনেক সাধারণ ব্যবসায়ীরা গ্যাড়াকলে পরে পথে বসে পড়েছিলো সে সময়কার ডিসির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে। নেৌযান অভিযানের দোহাই দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ক্রয় করা পাথর ভর্তি নৌকা ভেঙ্গে মিস মার্ করে দিয়েছিল সে সময়কার প্রশাসন ও পুলিশ।

 

 

 

 

 

 

 

এমনি অবস্থায় বর্তমান সরকারের সময়েও বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান,

সিলেটে এসে পরিবেশ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে অনঢ থাকায় কয়েকদিন ছিলো নীরব। পরিবেশ উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টার গাড়ী বহর আটকিয়ে বিক্ষোভ করেছিল স্থানীয়রা। তবে এটা কারো কারো ইন্ধন ছিল বলে মনে করছেন অনেকেই। এর কদিনের মাথায় পাথর কোয়ারী খোলে দেয়ার দাবিতে শুরু হয় একের পর এক মানববন্ধন ও আন্দোলন। নেতৃত্ব দেন সিলেটের রাজনৈতিক ব্যবসায়ী ও পরিবহন নেতৃবৃন্দ।এক পর্যায়ে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সিলেট কে অচল করার হুশিয়ারি দেন পরিবহন সেক্টরকে যোগ করে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে। তড়িঘড়ি করে সিলেটের প্রশাসন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বৈঠকের আহ্বান করে । সেখানে আলোচনা শেষে পরিবহন ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এ কর্মসূচি মধ্যে কেউ কেউ সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ কে অপসারণ দাবি করলেও আন্দোলনের ক্ষেত্রে প্রচার মাইকে জেলা প্রশাসক অপসারণের কোন দাবির মাইকিং শোনা যায়নি । তবে সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার দেয়া বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কে কটাক্ষ করেছেন। যাইহোক সবমিলিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজা ঊন- নবী বলেছিলেন, অন্যান্য জায়গায় পাথর চললে সিলেটে ও চলবে । এখন প্রশ্ন হল এটা যদি বলে থাকেন তাহলে উৎসাহ পেলো কে?
ব্যবসায়ীরা নীরব থাকার সুযোগে অসাধু পাথর খেকোরা লুটপাটের মহাৎসব চলায় সিলেটের সাদা পাথররঅঞ্চলে। উপরের নির্দেশে এখন টনক নড়েছে প্রশাসনের। যদিও কানে তোলা আর চোখে পর্দার কারণে প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে এবিষয়ে। প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলার কারণেই লুট হয়েছিল সিলেটে সাদা পাথর। যা এখন ফিরছে আপন ঠিকানায়। তাও হাইকোর্টের নির্দেশনায়।

এবার হাইকোর্টের নির্দেশে পাথর কন্যা সিলেটের স্ব-স্ব স্থানে ফিরছে লুট হওয়া সাদা পাথর।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় সাদা পাথর লুটের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি লুট হওয়া সব পাথর সাত দিনের মধ্যে আগের স্থানে ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

ছাড়া, একই ঘটনার দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে করা আরেকটি রিটের শুনানির তারিখ আগামী রোববার (১৭ আগস্ট) নির্ধারণ করেছে হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চে ওই রিটের শুনানি হবে। আদালতে এ রিট উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মীর একেএম নূরুন নবী।

ঘটনাটির পর দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এবং ভোলাগঞ্জ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিটে আরও দাবি করা হয়েছে—পাথর লুটের ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কেন নিষ্ক্রিয় ছিলেন, তা আদালত যেন অবৈধ ঘোষণা করে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারিরও আবেদন করা হয়েছে।
এ অবিলম্বে সাদা পাথর লুট কারীদের তালিকা প্রণয়নে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে লুট কারীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেস ক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নেতা এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, ইসলামী সমন্বয় পরিষদ সিলেটের বিভাগীয় সভাপতি জায়েদ আহমদ। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তারা সাদা পাথর সিলেটের ঐতিহ্য উল্লেখ করে সাদা পাথর লুট করীরা সিলেটের শত শত বছরের ঐতিহ্যের শত্রু বলে উল্লেখ করেছেন। তাই প্রশাসন রাজনৈতিক দৃষ্টিতে চিন্তা না করে আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি করেন তারা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ