সিলেটে সাদাপাথর লুটে গোয়েন্দাদের হাতে রাঘববোয়ালদের নাম, মামলায় আসামিরা অজ্ঞাত

প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২৫

সিলেটে সাদাপাথর লুটে গোয়েন্দাদের হাতে রাঘববোয়ালদের নাম, মামলায় আসামিরা অজ্ঞাত

 

 

# সময় চেয়ে কালক্ষেপণ করছে তদন্ত কমিটি। জেলা প্রশাসন বলছে জড়িতরা ধরা পরবেই#

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির সাদা পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।তবে মামলায় চিহ্নিত রাঘববোয়ালদের কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।

 

 

 

যদিও সাদা পাথর লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের বিরুদ্ধে। তিনি কোম্পানীগঞ্জে যোগদান করেন ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে। যোগদানের পর সম্পর্ক আর পরে সখ্যতা গড়ে ঊঠে স্থানীয় পাথরখেকোদের সাথে।
আর দায়িত্বে অবহেলা ও সাদা পাথর লুটপাটে শেল্টার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
আজিজুন্নাহার এর বিরুদ্ধে। ৩৬ তম বিসিএস এর এ কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জের যোগদান করেন ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারী তারিখে।

 

 

 

 

তার উপস্থিতিতে সাদা পাথর এলাকায় পাথর চুরি হয়েছে এমন ছবি ভিডিও ভাইরাল এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে। লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলফু মিয়া ও বিএনপির সভাপতি ( পদচ্যুত) সাহাব উদ্দিনের মতো রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে। জড়িতদের নামের লিস্ট এখন গোয়েন্দাদের হাতে।

 

 

 

তাছাড়া এলাকার মানুষের মুখে মুখে এখন তাদের মতো অনেকের নাম।
এমনকি এখন তারা পলাতক রয়েছেন। যৌথ বাহিনী তাঁদের খোঁজে অভিযান চালালেও কাউকে খুঁজে পায়নি।


শুক্রবার ( ১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ আদনান।

তিনি জানান, মামলার বাদি খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব। মামলায় এক থেকে দেড় হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখানো হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কিছু দুষ্কৃতকারী গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী সময়ে গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ ও অননুমোদিতভাবে কোটি কোটি টাকার পাথর লুটপাট করেছে মর্মে বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

সম্প্রতি সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর ও গোয়াইনঘাটের জাফলং থেকে পাথর লুটের ঘটনা ঘটে। সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা এ ঘটনায় হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন ও লুটেরাদের তালিকা উচ্চ আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। এতে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। আর দৌড় যাবে ব্যস্ত এখন রাঘব বোয়ালরা ঘটনা থেকে রেহাই পেতে। কেউ কেউ চলে গেছেন আড়ালে।

এরপর সিলেটসহ সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযানে নামে র‌্যাব পুলিশসহ যৌথ বাহিনী। গত তিনদিনে জাফলং ও সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে আছে নারায়নগঞ্জ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া ৪০ হাজার মেট্রিক টন।

সর্বশেষ সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন আসাম পাড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমান পাথর উদ্ধার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-৯ এর টহল টিম, সাদা পোশাকধারী সদস্য এবং সিলেট জেলা প্রশাসনের সহায়তায় একটি যৌথ আভিযানিক দল গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় আসাম পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

 

এদিকে,গত কয়েক দিনে খোঁজ নিয়ে কাজ জানা গেছে, রাঘববোয়ালদের পাশাপাশি সেখানে পাথর লুটের নেপথ্য নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উযায়ের আল মাহমুদ আদনান।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, যারা পাথর লুটের প্রতিবাদে দিনের বেলা সোচ্চার থাকেন, আন্দোলন ও সভা-সমাবেশ করেন, তাদেরই কেউ কেউ রাতের আঁধারে নেমে পড়েন পাথর লুটে। এরই মধ্যে গোয়েন্দাদের তালিকায় জায়গা পেয়েছে তাদের নামও। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির দুটি ক্যাম্পের নামেও হচ্ছে দুর্নাম। তাদের চোখের সামনেই সংরক্ষিত পর্যটন ও বাঙ্কার এলাকা থেকে পাথর লুট হলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা তাদের দুর্নামের কারণ। হয়তো তাদের কাছেও থাকতে পারে স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার সিগন্যাল।

বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, পাথরখেকোদের কারণে পর্যটন স্পটের আগে রেলওয়ের রোপওয়েটি লুটেপুটে নিশ্চিহ্ন করা হয়। জায়গাটি সংরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে সরকার কর্তৃক ঘোষিত। অথচ লুটের কারণে পাথর ও বালুর ঢিবি সমতল এবং কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। গত কয়েক মাসে সাদা পাথরের ৯০ শতাংশ পাথর ও বালু লুটপাট হয়েছে। এগুলো এরই মধ্যে ভোলাগঞ্জ থেকে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার নারায়ণগঞ্জে ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে র‌্যাব, যা সাদা পাথর থেকে লুট করে নেওয়া। ঢাকার ডেমরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মিলেছে সাদা পাথর এলাকার পাথর। ভোলাগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জের ছাতক, সিলেটের বিমানবন্দরের পাশের ক্রাশার মিল এলাকার ধোপাগোলসহ আশাপাশের গ্রামগুলোতে এসব পাথর ঢিবি করে রাখা হয়েছে। লোকচক্ষুর আড়াল করতে ধোপাগোল ও আশপাশে পাথর রেখে তার ওপর মাটি ও বালু দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সাদা পাথর লুটের প্রধান নায়ক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ শামীম, বিএনপির উপজেলা সভাপতি (পদ স্থগিত) শাহাব উদ্দিন, উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উযায়ের আল মাহমুদ আদনান।

তাদের সঙ্গে রয়েছে বিশাল বাহিনী।এই চক্রের কারণে একসময়ের উঁচু ও দৃষ্টিনন্দন শাহ আরেফিন টিলা এখন পরিণত হয়েছে বিশাল দিঘিতে। মিশে গেছে পাশের নদীর সঙ্গে। শামীম ছাড়াও মোস্তাকিম আহমদ ফরহাদ, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এখানে তান্ডব চালিয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী এই পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে।

৫ নম্বর উত্তর রনিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলার সাবেক কোষাধ্যক্ষ ‘জঙ্গলের রাজা’ খ্যাত কালা মিয়া, তার ছেলে জাহাঙ্গীর, আক্তার হোসেন এবং তার সহযোগী বিনোদ সরকারের নামও পাথরকাণ্ডে সম্পৃক্ত বলে উঠে এসেছে।
তাদের বাহিনী দিয়েই উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের উৎমা নদীতে বালু ও সাদা পাথর লুট হয়েছে। যুবদলের নেতা বাহার আহমেদ রুহেল ও মানিক, ছাত্রলীগের নেতা কবির, চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য ফখর উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগের চিহ্নিত পাথরখেকো আব্দুল আজিজ, আমির উদ্দিনও পাথর লুটে জড়িত বেশ বড় বটবৃক্ষের নাম।

বিএনপি নেতা শওকত আলী বাবুল পাথর কোয়ারি খুলে দিতে তীব্র আন্দোলন করেছিলেন। তার নামও জড়িয়ে আছে পাথর লুটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আলফু বাহিনী আওয়ামী আমলে ধলাই পূর্বপাড় দখলে নেয়। পরিস্থিতির বদল হলেও এখনো তারাই ধলাই নদী নিয়ন্ত্রণ করছে। আলফু মিয়ার সঙ্গে আছেন তার ভাই বিল্লাল হোসেন, আওয়ামী নেতা আমিনুল ইসলাম। সেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী পাথরখেকো শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে রয়েছে তাদের গভীরতা।

থানার ওসি উযায়ের আল মাহমুদ আদনান সাদা পাথর ছাড়াও উৎমা ছড়া থেকে বড় অঙ্কের ভাগ নেন। সেখানে এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে ৩ টাকা ঘনফুট চাঁদা আদায়ে লুটপাট চলছে।

সাদা পাথর থেকে পাথর লুটের পর কমে গেছে পর্যটকের আনাগোনা।
তবে সিলেটের ঐতিহ্য ধ্বংস কারী সাদা পাথর লুটেরাদের আইনের আওতায় এনে মুখোশ উন্মোচন এখন স্থানীয়দের সময়ের দাবি। জড়িত প্রশাসনের কেউ থাকলেও তাদের ও ছাড় দেয়া না হয় এমনটাই দাবি তাদের।
এ দিকে সিলেটে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দোষীদের খুঁজতে যে তদন্ত কমিটি হয়েছে সেখানে রাখা হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকে। যার বিরুদ্ধে লুটপাট ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, ইউএনও তদন্তে থাকলে মূল লুটেরারা চিহ্নিত হবে না। তাদের অভিযোগ, ইউএনও ও স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশেই হয়েছে এই লুট। এখন যা হচ্ছে তা লোক দেখানো।

জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই ভয়াবহ লুটপাটের শিকার হয়েছে সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এবং এর পাশের ১০ একরের রেলওয়ে বাঙ্কার। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় শুরুর দিকে রাতে লুট হলেও সম্প্রতি দিনে-রাতে সব সময়ই হয়েছে। ফলে একেবারে পাথর শূন্য হয়ে পড়েছে সাদাপাথর পর্যটন এলাকা। আর খানাখন্দে পরিণত হয় রেলওয়ে বাঙ্কার।

স্থানীয়দের মতে, এই দুই স্থান থেকে কমপক্ষে দেড় কোটি ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ২০০ কোটি টাকার বেশি।

তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে বাঙ্কার থেকে পাথর লুটের ঘটনায় কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা পৃথকভাবে সেটি জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের একাধিক কর্মকর্তাকে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। whatsapp নাম্বারে কল দিয়ে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের ছবি কারো কারো whatsapp এর প্রোফাইল পিকচারে তবে এর জন্য কেউই মানুষের সেবা দিচ্ছেন না । এবং তথ্যগুম করছেন এতে বুঝার আর বাকি থাকে না।

সর্বশেষ কথা হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মোঃ আজমাঈন মাহতাব এর সাথে। তিনি whatsapp মেসেজে বলেন , আমি ঢাকায়

এডিজি স্যারের রুমে , কি সমস্যা বলেন।

তখন রেলওয়ের বাঙ্কার থেকে পাথর লুটের ঘটনায় রেলের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি আবারো বলেন আগামীকাল অফিস করবেন। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের তিনতলায় ওনার অফিস সেখানে বসে ব্যাখ্যা দিতে হবে। এগুলো মোবাইল বা হোয়াটসঅ্যাপে বলা যাবে না বলা যাবে না কলে বা মেসেজে । সমস্যা আছে।

 

পাথর কাণ্ডে কোম্পানীগঞ্জের ইঊএনও জড়িত কিনা থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা জানতে মেসেজ দিলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ whatsapp message এ এ প্রতিবেদককে জানান গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নেয়া হবে ব্যবস্থা।

তবে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এই পাথর লুট কারীদের ইন্দ্র নেই সিলেটে উপদেষ্টাদের গাড়ি বহর আটকিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে উপদেষ্টা কঠোর হওয়ার কারণে একটি মহল আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল তখন তরিগরি করে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার এর সভাককক্ষে একটি সমঝোতা সভা করেন। সেখানে বিভাগে কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজা উন -নবী বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানে পাথর চললে সিলেটেও চলবে। এতে খুব তো আন্দোলনকারীরা ও পাথর সংশ্লিষ্টরা পাথর লুটের স্পিড পায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট কে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কার্যকরী পদক্ষেপ চায় সচেতন জনতা ও পরিবেশবাদীরা।

অপরদিকে শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পাথর কাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটি।

কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসেন সিংহর কাছে জানতে চাওয়া হয় ইউএনও কমিটিতে থাকায় সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব কিনা। তিনি বলেন, অবশ্যই সম্ভব। ইউএনও লুট ঠেকাতে বহু অভিযান করেছেন, অনেক মানুষকে সাজা দিয়েছেন। সেসব কাগজপত্র সংরক্ষিত আছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ইউএনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
জেলা প্রশাসক জড়িতরা চিহ্নিত হবে বলে আশাবাদী হলেও তদন্ত কমিটি
রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা থাকলেও সেটা না দিয়ে সময় চেয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে।
এতে করে কেউ কেউ মনে করছেন সময় চাওয়ার নামে
কালক্ষেপন করছেন তদন্ত কমিটি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ