২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই

admin
প্রকাশিত ১২ জুলাই, শনিবার, ২০২৫ ২২:৪৫:৫২
সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই

Manual4 Ad Code

সিলেট অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি না থাকলেও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীগুলোর পানি এখন বিপৎসীমার একেবারে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ভারতীয় উজান, বিশেষ করে আসাম অঞ্চলে ভারী বর্ষণের প্রভাবে এই পানি বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

Manual1 Ad Code

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নদীগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে পানির উচ্চতায় ধারাবাহিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

সুরমা নদীতে: কানাইঘাট পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানি ছিল ১১.৬৮ মিটার, যা বিপৎসীমার ১.০৭ মিটার নিচে। শুক্রবার সকাল ৬টায় বেড়ে দাঁড়ায় ১১.৮০ মিটার। বিকেলে কিছুটা কমলেও তা এখনো বিপজ্জনক সীমার কাছাকাছি।

 

 

 

Manual6 Ad Code

সিলেট পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানির পরিমাণ ছিল ৮.৮৮ মিটার (বিপৎসীমার ১.৯২ মিটার নিচে)। শুক্রবার সকালে তা বেড়ে হয় ৮.৯১ মিটার এবং বিকেলে স্থিতিশীল ছিল।

Manual7 Ad Code

কুশিয়ারা নদীতে: আমলশিদ পয়েন্টে শুক্রবার বিকেল ৩টায় পানি দাঁড়ায় ১৫.১৫ মিটার, বিপৎসীমার মাত্র ২৫ সেন্টিমিটার নিচে।

শেওলা পয়েন্টে শুক্রবার বিকেলে পানির পরিমাণ হয় ১২.৩৩ মিটার, যা বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচে।

Manual6 Ad Code

ফেঞ্চুগঞ্জে পানির উচ্চতা শুক্রবার বিকেলে ছিল ৯.৪৪ মিটার — বিপৎসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার নিচে!

শেরপুর পয়েন্টে পানি সামান্য কমলেও এখনও রয়েছে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচে।

প্লাবনের শঙ্কা, সতর্ক সিলেট পানি বাড়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে নদীগুলো যে কোনো সময় দুকূল ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, “বৃষ্টি না থাকলেও চারদিকে পানি বাড়ছে—এটা বেশ অস্বস্তিকর। এমন অবস্থায় আগাম প্রস্তুতি না থাকলে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো কঠিন হতে পারে।”