"খুন করার পর রিভারভিউ রিসোর্সের পেছনে পাথর চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ইমরানের লাশ ''
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া :: সিলেটের জাফলংয়ে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী, তার প্রেমিকসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি আইনজীবী মো. জালাল উদ্দীন এই তথ্য নিশ্চিত করেন
সিলেটের কোর্ট ইন্সপেক্টর জামশেদ আলম জানান, আসামিদের উপস্থিতিতেই আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরেক আসামি আব্দুর রকিব নাবালক হওয়ায় তার বিচারকার্য শিশু আদালতে হচ্ছে।’ বলেও জানান তিনি। তবে শিশুর বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হচ্ছে তা জানাতে পারেননি তিনি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কিশোরগঞ্জের নিকলীর ছেত্র গুরুই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে ও নিহতের স্ত্রী খুশনাহার (২২), তার পরকীয়া প্রেমিক গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের দড়িতাজপুর গ্রামের সোলাইমান মণ্ডলের ছেলে মাহমুদুল হাসান (২২) এবং সহযোগী নারায়ণগঞ্জর রূপগঞ্জ উপজেলার কাজিরটেক দাউদপুর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে নাদিম আহমদ ওরফে নাইম (১৯)।
আদালত সূত্রেজানাযায়,কিশোরগঞ্জের নিকলীর ছেত্রা গুরাই হিলচিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আলে ইমরান (৩২) ঢাকায় একটি জুতার কারখানায় কাজ করতেন। ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল সকালে সস্ত্রীক জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। ১৭ এপ্রিল বিকেলে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাধীন জাফলং বল্লাঘাট রিভারভিউ রিসোর্টের পেছনে পাথরচাপা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পরদিন গোয়াইনঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আব্দুল জব্বার। ওই বছরের ১৯ এপ্রিল রাতে গোয়াইনঘাট থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযানে নিহতের স্ত্রী খুশনাহার এবং নাদিম আহমেদ নাঈমকে গ্রেপ্তার করে।