কামাল খান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষায় প্রকৃত সাফল্য অর্জনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পাসের পর চার বছরের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। এ ধাপই হচ্ছে শিক্ষার প্রকৃত ধাপ।
সিলেট প্রেসক্লাব-সাংবাদিক মশাহিদ স্টুডেন্ট স্কলারশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট প্রেসক্লাবের আমীনূর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে ক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ও স্কলারশিপ আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক খালেদ আহমদ। বক্তব্য দেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী এবং স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী জান্নাতুল আহমদ মৌমি। শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন ক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কবীর আহমদ সোহেল।প্রফেসর ড. সরওয়ারউদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আর শিক্ষার ক্ষেত্রে পিতা-মাতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।’তিনি জানান, জাপান ও চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চক-ডাস্টার কালচার চালু রয়েছে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে শিক্ষা অঙ্গনে একটি ব্র্যান্ড নাম হলেও গত ১৭ বছরে নতুন কোনো বিভাগ চালু না হওয়াটা দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও জানান, বর্তমান প্রশাসন আল-কুরআন ও দাওয়াসহ কয়েকটি নতুন বিভাগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শাবিতেও আইইআর (ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ) প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে-যা সিলেট অঞ্চলের মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।বিশেষ অতিথিদের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সুসম্পর্ক রয়েছে। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ফয়েজ উল্যাহ প্রেসক্লাবের জন্য যে জমি দান করেছিলেন-তা সিলেটের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি জানান, মিডিয়ার সহযোগিতায় তিনি সিলেট নগরীকে হকারমুক্ত করে নতুন স্থানে পুনর্বাসন করতে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট চালু করেছেন এবং কৃষক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার কাজও চলছে। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাংবাদিক মশাহিদ আলী তার ছাত্র হওয়ায় তিনি গর্বিত। তার ছাত্র যে শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছে-তা শিক্ষার প্রতি তার দীর্ঘদিনের দায়বদ্ধতারই প্রমাণ।অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। এ উপলক্ষে ‘মেধাবী প্রজন্ম’ শিরোনামে একটি স্মারকগ্রন্থও প্রকাশিত হয়।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-শাবির রেজিস্ট্রার সৈয়দ সলিম মো. আব্দুল কাদির, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক জাবেদ আহমদ, সিলেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসানসহ সিলেট প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ।