সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মলেন করেন

প্রকাশিত: ১১:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৫

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মলেন করেন

সাদাপাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠেছে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বুধবার দুদকের বরাত দিয়ে দৈনিক সমকালে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পকাশিক হয়।

 

 

 

ওই প্রতিবেদনে উল্রেখ করা হয়, সাদাপাথর লুট নিয়ে তদন্তে লুটপাটে ৪২ জন রাজনৈতিক নেতার নাম পেয়েছে দুদক। যার মধ্যে কয়েস লোদী এবং ইমদাদ চৌধুরীও রয়েছেন।

 

 

বুধবার বিকেলে এ নিয়ে সংবাদ সম্মলেন করেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

তবে এমন প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কয়েস লোদী এবং ইমদাদ চৌধুরী। পাথরলুটে জড়িত থাকার কথাও অস্বীকার করেছেন।

নগরের একটি রেস্টুরেন্টে ওই সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, দৈনিক সমকাল এর ৪র্থ পাতায় এবং অনলাইন ভার্সনে ‘দুদকের অনুসন্ধান : সিলেটে সাদাপাথর চুরির সঙ্গে জড়িত ৪২ জন’ শীর্ষক সংবাদে দুদকের সূত্র দিয়ে কোনপ্রকার প্যাসিফিক সূত্র, যথাযথ অনুসন্ধান এবং কোন প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়াই সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে পাথর চুরির সাথে জড়িত মর্মে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আমার এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর নাম লুটেরাদের তালিকায় যুক্ত করেছে। এতে করে আমরা রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্নই নয় বরং এই ধরনের বস্তবতা বিবর্জিত কাল্পনিক সংবাদের কারনপ আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

 

 

এতে লিখিত বক্তব্যে কয়েস লোদী আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিগত ১৫ বছর থেকে এই এলাকায় তৎক্ষালীন দখলদার আওয়ামীলীগের যোগসাজশে ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে এখানে লুটপাট চলছে, যা এখনো চলমান রয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে প্রকৃত তথ্য না দিয়ে কোন প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়াই মহানগর বিএনপিকে জড়ানোর এমন ঘটনা বিগত দেড়দশকের অপ-সাংবাদিকতা ও অপসংস্কৃতিকেই মনে করিয়ে দেয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রত্যাখ্যান করে সংবাদের স্বপক্ষে যথাযত তথ্য প্রমাণ দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করার আহবান জানাচ্ছি।এই ধরনের ভিত্তিহীন, কাল্পনিক এবং গুজব ছড়ানোর জন্য আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছি।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, কোন ভাবেই এই অপকর্মে সাথে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। এবং যারা এই মিথ্যা তথ্যটি পরিবেশন করেছেন তাদেরকে এটি প্রমাণ করতেই হবে অথবা এই ধরনের মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশবের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

 

 

 

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি এবং ধানের শীষের পক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে যখন জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তখনই শীষের সুনিশ্চিত বিজয়কে বাঁধাগ্রস্ত করতে এবং বিএনপিকে বিতর্কিত করতে তারা এই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

 

 

 

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট রেজিমের পতনের পর দেশ যখন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে একটি পক্ষ অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে সারাদেশে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। এই ধারাবাহিকতায় গত কিছুদিন থেকে সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে গুজব ও অপপ্রচার করা হচ্ছে। একটি পক্ষ ভোটের মাঠে সুবিধার করতে না পেরে এখন বিএনপিকে ঘায়েল করার চক্রান্ত করছে।

 

 

 

 

কয়েস লোদী বলেন, আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি যে, দুদকের কর্মকর্তারা সাদাপাথর সরেজমিন পরিদর্শনকালে এঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়টি বলেছেন এবং সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাও প্রশাসনের দায় আছে মর্মের গণমাধ্যমে বলেছেন। আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই পাথর চুরির সাথে জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

 

 

 

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র সমূহ দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই এখন পর্যন্ত যেসকল পর্যটন কেন্দ্র অক্ষত রয়েছে তা যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যতায় প্রকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হওয়ার ফলে পর্যটকরা সিলেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।

সর্বশেষ নিউজ