সিলেট-৬ আসনে বিএনপিতে ফয়সল আহমদ চৌধুরী এগিয়ে,পিছিয়ে জামায়াত

প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২৫

সিলেট-৬ আসনে বিএনপিতে ফয়সল আহমদ চৌধুরী এগিয়ে,পিছিয়ে জামায়াত

কামাল খান সিলেট-৬আসনে (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা বাড়ছে। প্রবাসী অধ্যুষিত এ আসনে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে একসময়ের জোটসঙ্গী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে মাঠপর্যায়ের তৎপরতা, সাংগঠনিক অবস্থান ও জনপ্রিয়তার বিচারে বর্তমানে বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী এগিয়ে আছেন বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন নয়জন।

 

 

 

 

 

 

তাদের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় ও জনপ্রিয় ফয়সল চৌধুরী। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদের বিপক্ষে এক লাখের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। রাতের ভোটখ্যাত সেই নির্বাচনে হেরে গেলেও এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে সক্ষম হন তিনি। বর্তমানে তিনি ধারাবাহিক জনসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন। বিএনপির অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা অহিদ আহমদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম কমর উদ্দিনের মেয়ে সাবিনা খান, সাবেক সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়ার মেয়ে সৈয়দা আদিবা হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তামিম ইয়াহইয়া এবং জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল খান। অন্যদিকে জামায়াত ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে ইতোমধ্যে মনোনয়ন দিয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

তিনি এলাকায় নিয়মিত অবস্থান করে কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন। তবে দীর্ঘদিন ঢাকায় রাজনীতি করার কারণে স্থানীয়দের কাছে এখনও কিছুটা অপরিচিত রয়ে গেছেন। এ আসনে ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকেও একাধিক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বিএনপি বিরোধী ভোটের বিভাজন ধানের শীষের প্রার্থীর জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অতীতের নির্বাচনী ইতিহাস অনুযায়ী, এই আসনে আওয়ামী লীগ ছয়বার, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি দু’বার করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দু’বার জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হওয়া ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন পরে বিএনপিতে যোগ দেন। সর্বশেষ ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে জোটগত সমঝোতায় আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে দলটির প্রার্থী জয়ী হতে পারেন নি। স্থানীয়রা জানান, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী একসময় সিলেট জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি শিল্প-উদ্যোক্তা। তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় এবং বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিএনপির বাইরে সাধারণ জনগণের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর এজেন্ট সালেহ আহমদ খসরু বলেন, “ফয়সল চৌধুরী নিঃসন্দেহে একজন যোগ্য প্রার্থী। দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে এই আসন অবশ্যই বিএনপি পাবে।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ