১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সীতাকুণ্ডে সাংবাদিক লিটন চৌধুরীর ওপর হামলা, আহত সাংবাদিক ও পরিবার

admin
প্রকাশিত ২০ অক্টোবর, সোমবার, ২০২৫ ২১:৩৭:২০
সীতাকুণ্ডে সাংবাদিক লিটন চৌধুরীর ওপর হামলা, আহত সাংবাদিক ও পরিবার

Manual3 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম │ সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

Manual6 Ad Code

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে লিটন কুমার চৌধুরী, দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিনিধি ও সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, হামলার শিকার হয়েছেন। হামলাকারীরা তাঁর কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের রেলগেট এলাকায় লিটন নিজ বাসার সামনে একজন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ নামে এক ব্যক্তি কয়েক যুবককে সঙ্গে নিয়ে এসে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এরপর তাঁরা অলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন এবং লিটনের মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন

হামলার সময় লিটনের ছেলে রাকেশ চৌধুরী ও ভাতিজা দিব্য চৌধুরীও আহত হন। রাকেশ বলেন,

Manual3 Ad Code

“বাবার ওপর হামলাকারীরা সবাই ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী। তাঁরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে এবং মোবাইল ফোন ও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।”

Manual7 Ad Code

হামলার পরে হামলাকারীরা লিটনকে সীতাকুণ্ড থানায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

হামলার ভিডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে লিটনের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল।

সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মো. ফোরকান আবু মব বলেন,

“ভিডিওতে হামলাকারীরা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। পুলিশ এখনো তাদের গ্রেপ্তার করেনি। আমরা দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।”

Manual2 Ad Code

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান,

“হামলা করা লিটন চৌধুরীকে থানায় আনা হয়েছিল। কোনো মামলা না থাকায় তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

🔴 উল্লেখ্য, হামলার ঘটনা সীতাকুণ্ড পৌর সদরের রেলগেট এলাকায় ঘটেছে এবং এটি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।