সীমান্তে ভারতীয় লং রেঞ্জ স্যূটিং রাইফেলস্ উদ্ধারে সতর্কতা বেড়েছে পুলিশের

প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪

সীমান্তে ভারতীয় লং রেঞ্জ স্যূটিং রাইফেলস্ উদ্ধারে সতর্কতা বেড়েছে পুলিশের

সীমান্তে ভারতীয় লং রেঞ্জ স্যূটিং রাইফেলস্ উদ্ধারে সতর্কতা বেড়েছে পুলিশের

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া সীমান্তে ভারতীয় লং রেঞ্জ স্যূটিং রাইফেলস বিজিবির অভিযানে উদ্ধার হয়েছে।
সে অভিযানের সহযোগিতায় ছিল পুলিশ ও।

 

যে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে সেই অস্ত্রের গায়ে মেইড ইন ভারত (ইন্ডিয়া ) লিখা রয়েছে। অস্ত্রটি মূলত লং রেঞ্জ রাইফেলস। অস্ত্রের সাথে অপটিক্যাল ল্যান্স ও অস্ত্রটি সেট করা অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ধরণের অস্ত্র মূলত প্রাণঘাতি , অস্ত্রের সাথে জুড়ে থাকা অপটিক্যাল ল্যান্স দুরে থাকা টার্গেটকৃত ব্যাক্তিকে শব্দহীন ভাবে স্যুট করে আক্রমণ করার কাজে সন্ত্রাসীরা বহি:বিশ্বের ব্যবহার করে তাকে। এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সিনিয়র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সীমান্তে এমন অস্ত্র উদ্ধারে সতর্কতামূলক ভাবে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা জোড়ে রয়েছে সতর্ক অবস্থায় পুলিশ।

 

বিশেষ করে তাহিরপুর থানার বডছড়া, টেকেরঘাট সহ সবকটি পুলিশ ফাঁড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা এলাকার চিনাঊড়া,বনগাও,হাসাঊড়াও নারায়ণ তলা বিওপি তে টহল জোরদার সহ বাড়ানো হয়েছে অফিসার ফোর্স বলে নিশ্চিত করেছেন

 

সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কর্তা পুলিশ সুপার
আ.ফ.ম. আনোয়ার হোসেন খান পিপিএম।
তিনি জানান, বড়ছড়া সীমান্তে প্রভাবশালী চোরাকারবারী নাজমুল কোন ধরনের অকারেন্স ঘটাতে পারে এমন ধারণা পুলিশের আগে থেকেই ছিল। ইতিপূর্বে নাজমুলকে পুলিশ একটি মামলায় আটক ও করেছে।
যে নাজমুলের নাম বিজিবির এজহারে এসেছে
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায়। তার বাড়ি বড়ছড়া সীমান্তে।

বাংলাদেশ সীমান্তের সিলেটের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া স্থল শুল্ক স্টেশনে কয়লা আমদানিকারকের ডিপোতে থাকা অফিস কক্ষ থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভারতীয় লং রেঞ্জ স্যুটিং রাইফেলস সহ (স্নাইপার) তিন জনকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গ্রেফতারকৃতরা হল, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম টেকেরঘাটের বড়ছড়ার আবুল মিয়া ওরফে আবুল মেইকারের ছেলে রাজু, ওরফে জৌকার রাজু একই উপজেলার একই গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে জালাল মিয়াওরফ ফালতু জালাল , নুর আহমদের ছেলে রাসেল মিয়া ওরফে নোংরা রাসেল।

 

 

শুক্রবার সন্ধায় সিলেট সেক্টরের ২৮- বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)’র সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির অস্ত্রসহ তিনজনকে আটকায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজিবি’র দায়িত্বশীল সুত্র ও সীমান্তের লোকজন জানান, ব্যাটালিয়নের তাহিরপুরের টেকেরঘাট বিজিবি’র কোম্পানী হেডকোয়ার্টারের একটি টহল দল
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড়ছড়া স্থল শুল্ক স্টেশনে থাকা মেসার্স শামীম ট্রেডার্স নামক কয়লা-চুনাপাথর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের লেদারবন্দ গ্রামের আফছার উদ্দিনের ডিপোতে থাকা অফিস কক্ষ থেকে অস্ত্রসহ ওই তিন জনকে আটক করে বিজিবি।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠান প্রদান আফসার উদ্দিনের ফোন বন্ধ থাকলেও তার প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা আফছার উদ্দিনের ছেলে শামীম জানান, যে ডিপো কাম অফিস কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেটি ভাড়াকৃত জায়গায় আমাদের ডিপো বা অফিস হলেও আমরা কয়েকবছর ধরে ওই ডিপোতে আমদানিকৃত কয়লা- চুনাপাথর মজুদ করিনি, এক রকম পতিত ডিপো বা অফিস বলা যায়। অস্ত্র সহ তিন জন গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি লোকমুখে জেনেছেন বলেও জানান ।

বিজিবির প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, কয়েক মামলায় সদ্য সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিনে বেড়িয়ে আসা অপর এক ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী সীমান্তের ওপার ভারত থেকে অস্ত্রটি সংগ্রহ করে অন্য কোন চক্রের নিকট বিক্রয় বা হস্তান্তরের জন্য।

 

প্রেস বিফিংকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী সহ বিজিবি’র সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল অফিসারগণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানা পুলিশের ওসি দেলোয়ার হোসেন শনিবার রাতে জানান, বিজিবি লিখিত এজহার পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নাজমুল হক তাহিরপুর থানার বড়ছড়া সীমান্তে ভারতীয় রাইফেল সহ আটক আসামিদের বিজিবি সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার হাজতে রাখা অবস্থায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আমার তো নাই কোন মামলা না থাকায় তাদেরকে এই থানায় নতুন কোন মামলায় আটক দেখানো হয়নি। দেশের চলমান অবস্থা বিবেচনা করে এসপি স্যারের নির্দেশে আমরা সকল সীমান্তের ফাড়িএলাকায় সর্তকতা বাড়িয়েছি।

উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ সীমান্তে লং রেঞ্জ রাইফেলস উদ্ধারে সুনামগঞ্জবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে সীমান্ত পথে এ ধরনের অস্ত্র যে আর আসে নাই এমন প্রশ্নের জবাব দিবে কে।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ