সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শ্যালকের প্ররোচনায় পড়ে মায়ের স্বর্ণালংকার-টাকা চুরি এবং প্রাণে হত্যা করে লাশ ঘুম করার হুমকি ছেলের

প্রকাশিত: ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২৪

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শ্যালকের প্ররোচনায় পড়ে মায়ের স্বর্ণালংকার-টাকা চুরি এবং প্রাণে হত্যা করে লাশ ঘুম করার হুমকি ছেলের

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শ্যালকের প্ররোচনায় পড়ে মায়ের স্বর্ণালংকার-টাকা চুরি এবং প্রাণে হত্যা করে লাশ ঘুম করার হুমকি ছেলের

লিমন আহমদঃ- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানাধীন ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়নের কাকবলী গ্রামে ২য় ছেলে, ছেলের বউ এবং ছেলের শ্যালক কতৃক অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও ঘর থেকে স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা চুরির অভিযোগ করেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে থানাধীন ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়নের কাকবলী গ্রামের মৃত মোঃ আব্দুল হান্নানের স্ত্রী রাহেনা খানম (৫৯)।

 

লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ভুক্তভোগী রাহেনা খানম (৫৯) জানান, ১নং বিবাদী মোঃ রুবেল মিয়া (৪০), পিতা- মৃত মোঃ আব্দুল হান্নান, তার ২য় ছেলে এবং ২নং বিবাদী মোছাঃ বৃষ্টি বেগম (৩২), স্বামী- মোঃ রুবেল মিয়া, ছেলের বউ ও ৩নং বিবাদী সালমান মিয়া (২০), পিতা- হিরন মিয়া, সর্ব সাং- কাকবলী, ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়ন, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ ছেলের শ্যালক। মোঃ রুবেল মিয়া তার স্ত্রীসহ ভুক্তভোগীর বাড়িতে বসবাস করেন। মোঃ রুবেল মিয়া তার মায়ের কোন কথা শুনেন না, তার মায়ের কোন ভরণ- পোষণ দেয় না। সব সময় খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে, কাজ কর্ম করে না। প্রায় সময়ই মোঃ রুবেল মিয়া তার মায়ের কাছ থেকে টাকা-পয়সা দাবী করে মা’কে মারধর করে এবং বোনরা বাড়িতে আসলে গালিগালাজ করে,ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে। ২নং বিবাদী মোছাঃ বৃষ্টি বেগম (৩২) সব সময় ভুক্তভোগী রাহেনা খানমের সাথে ঝগড়া-বিবাদ করে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এছাড়াও ৩নং বিবাদী সালমান মিয়া (২০) ১ ও ২ নং বিবাদীকে ইন্দনসহ বিভিন্ন খারাপ প্ররোচনা দিতে থাকে। ইতিপূর্বে ২ বার ১নং বিবাদী মোঃ রুবেল মিয়া (৪০) ভুক্তভোগী রাহেনা খানমের ঘর হইতে স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা চুরি করে যা নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিশ বৈঠকও হয় এবং বিবাদী চুরির বিষয়টি স্বীকার করে। নিজের সন্তান হওয়ায় ভুক্তভোগী রাহেনা খানম বিবাদীদের বিপক্ষে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেন নি।

 

চুরি হওয়ার দিন অর্থাৎ ৩০/০৬/২০২৪ ইং তারিখ রাত অনুমান ১০:৩০ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী রাহেনা খানম তার ঘরের দরজা তালাবদ্ধ করে তার মেয়ে বাড়িতে যায়। তখন বিবাদীরা তাহাদের বসত ঘরে ছিলো। পরেরদিন সকাল অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী রাহেনা খানম বাড়িতে এসে দেখেন তার বসত ঘরের গ্রীলের দরজা তালাবদ্ধ। তখন তিনি গ্রিলের তালা খুলে ঘরে গিয়ে দেখেন তার ঘরের তালাটি ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে। ঘরের প্রবেশ করে তিনি দেখেন ঘরের ভিতরে রাখা রক্ষিত স্টিলের আলমিরাতে রাখা তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার যার মূল্য আনুমানিক ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা এবং নগদ ৩,৫০,০০০/- (সাড়ে তিন লক্ষ) টাকা নেই। তখন ভুক্তভোগী রাহেনা খানম বিবাদীদের ঘরে পেয়ে চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিবাদীরা ভুক্তভোগী রাহেনা খানমের উপর উত্তেজিত হয়ে হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ ১নং বিবাদী মোঃ রুবেল মিয়া (৪০) হাতে দা নিয়ে ভুক্তভোগী রাহেনা খানমকে চুরির ঘটনাটি তারা ঘটিয়েছে এবং উক্ত বিষয় নিয়ে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি বা মামলা-মোকদ্দমা করলে তাকে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তী বিবাদীদের উত্তেজনা দেখে আশেপাশের লোকজন এসে ভুক্তভোগীকে বিবাদীদের কবল হইতে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে জানান এবং জগন্নাথপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত বিষয়টি তদন্ত করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও উচ্চ মহলের কাছে সঠিক বিচার আশা করেন ভুক্তভোগী রাহেনা খানম।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ