সুন্দরবন থেকে সাত জেলেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহরণকারী জলদস্যু ‘ডন বাহিনী’ প্রতিজনের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানিয়েছেন ফিরে আসা দুই জেলে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী, চেলাকাটা ও হেতালবুনি খাল এলাকা থেকে জেলেদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃতদের পরিচয়
অপহৃত জেলেরা হলেন—
-
আব্দুল আজিজ (৫০)
-
ইব্রাহিম হোসেন (৪৫)
-
আনারুল ইসলাম (২২)
-
নাজমুল হক (৩৪)
-
শামিম হোসেন (৩৬)
-
আনোয়ার হোসেন (৩২)
-
মুজিবুল হোসেন (৩৫)
সবার বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা
সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা দুই জেলে ফজর আলী ও সবুজ মিয়া জানান, তিন দিন আগে কদমতলা স্টেশন থেকে আনুমতি নিয়ে তাঁরা কাঁকড়া ধরতে বনে যান। সকাল ৮টার দিকে তিনটি নৌকায় ১০ জন সশস্ত্র দস্যু এসে তাঁদের ঘিরে ফেলে। এরপর প্রতিটি নৌকা থেকে একজন করে জেলেকে তুলে নেয়।
দস্যুরা একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে দ্রুত মুক্তিপণের টাকা দিতে বলে। তিন দিনের মধ্যে টাকা না দিলে জেলেদের হাত–পা ভেঙে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
ফিরে আসা দুই জেলের ভাষ্য, ঋণ করে বনে ঢুকেছিলেন তাঁরা। এখন কাঁকড়া শিকারের খরচ তোলা তো দূরের কথা, সহকর্মীদের জীবন বাঁচাতে মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করাই বড় সংকট।
প্রশাসনের বক্তব্য
সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন,
“আমরা বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
‘ডন বাহিনী’ নিয়ে বন বিভাগের তথ্য
বন বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, ডন বাহিনী ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করেছিল। তবে সম্প্রতি অলিম ও রবিউল বাহিনীর মতো এ বাহিনীও আবার সুন্দরবনে দস্যুতা শুরু করেছে। বাহিনীপ্রধানের বাড়ি খুলনা হলেও দলের অনেক সদস্যের বাড়ি শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে।