২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সুন্দরবনে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভেসে যাওয়া হরিণ শাবক উদ্ধার

admin
প্রকাশিত ২৯ মে, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ ২০:২৯:৫৪
সুন্দরবনে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভেসে যাওয়া হরিণ শাবক উদ্ধার

Manual3 Ad Code

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও বৃষ্টির প্রভাবে বাগেরহাটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। সুন্দরবনের ভেতরের নদীগুলোয় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই-তিন ফুট পানি বেড়েছে। যার ফলে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনের দুবলার চর, করমজলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। গতকাল বুধবার (২৮ মে) রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিনব্যাপী বৃষ্টিতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।

Manual3 Ad Code

এদিকে সুন্দরবনের শেলার চর এলাকা থেকে নদীতে ভেসে যাওয়ার সময় একটি হরিণ শাবক উদ্ধার করেছেন বনরক্ষীরা। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হরিণটিকে আবারও বনে অবমুক্ত করে দিয়েছেন বনরক্ষীরা।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কারণে করমজল, দুবলার চর, কটকা, কচিখালী, শেলার চরসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুন্দরবনের স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে তিন ফুট পানি বেড়েছে। তবে করমজল ও অন্য কোনো এলাকার বন্য প্রাণীর ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া বনের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় বন্য প্রাণীর আশ্রয়ের জন্য উঁচু টিলা তৈরি করা আছে। পানি বাড়লে ওইসব টিলায় বন্য প্রাণী আশ্রয় নিতে পারবে।

অন্যদিকে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাট পৌরসভার রাহাতের মোড়, পুরোনো বাজার, কাঁচাবাজার, মোরেলগঞ্জ পৌরসভার প্রধান বাজার, বিভিন্ন সড়ক, মোংলা শহরের বেশির ভাগ এলাকাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল।

Manual2 Ad Code

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর থেকে প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে দরাটানা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপরে, বলেশ্বর নদী বিপৎসীমা ছুঁয়েছে এবং পশুর নদে ১.১৫ মিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে আড়াই ফুট পানি বেড়েছে।

উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মো. আল বিরুনী বলেন, নদ-নদীর পানি বাড়লেও জেলার কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি।

Manual8 Ad Code

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, যার প্রভাবে বাগেরহাট জেলাজুড়ে হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে তিন নম্বর সতর্কসংকেত চালু থাকলেও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান। তিনি বলেন, তিন নম্বর সতর্কসংকেত জারি থাকলেও আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে। ফলে মোংলা বন্দরে পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলমান রয়েছে।

Manual4 Ad Code