দীর্ঘ ১০ মাস পর কক্সবাজার শহর থেকে সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টার মধ্যে নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট থেকে তিনটি জাহাজ—এমভি বারো আউলিয়া, এমভি কর্ণফুলী ও এমভি কেয়ারি সিন্দাবাদ—মোট ১ হাজার ১৭৪ যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, দ্বীপের পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা পর্যটকদের মানতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাহাজ ও দ্বীপে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকের উপস্থিতিও জোরদার করা হয়েছে।
‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, সকাল ৭টা ৩২ মিনিটে ৪৬৫ যাত্রী নিয়ে এমভি কর্ণফুলী যাত্রা শুরু করে। পরে এমভি বারো আউলিয়া ৫১৯ জন এবং এমভি কেয়ারি সিন্দাবাদ ১৯০ জন যাত্রী নিয়ে রওনা হয়।
তিনি জানান, ছয়টি জাহাজ অনুমতি পেলেও যাত্রীসংখ্যার ভিত্তিতে প্রথম দিনে তিনটি জাহাজ ছেড়েছে। সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে ৬–৭ ঘণ্টা সময় লাগবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, নির্বিঘ্ন যাত্রার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা টিকিট যাচাই শেষে জাহাজে উঠার সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘পরিবেশবান্ধব’ পানির বোতল উপহার দেওয়া হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান জানান, কোনো অবস্থাতেই দৈনিক দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে প্রবেশ করতে পারবে না। টিকিট, নির্দেশনা মেনে চলা ও সচেতনতা নিশ্চিত করতে দুই প্রান্তে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।
সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে অনুসরণীয় ১২ নির্দেশনার মূল পয়েন্ট
-
অনুমোদনবিহীন কোনো নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ
-
অনলাইনে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোডসহ টিকিট সংগ্রহ বাধ্যতামূলক
-
রাতে সৈকতে আলোকসজ্জা, শব্দ বা বারবিকিউ নিষিদ্ধ
-
কেয়াবনে প্রবেশ ও কেয়া ফল সংগ্রহ নিষিদ্ধ
-
প্রবাল, সামুদ্রিক প্রাণী, শামুক–ঝিনুকসহ জীববৈচিত্র্য ক্ষতি করা যাবে না
-
সৈকতে মোটরচালিত যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
-
পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বহন নিষিদ্ধ
-
বড় প্লাস্টিক বোতল (৫০০–১০০০ মিলি) ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে