ঢাকা, শুক্রবার:
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির শহীদিতে জাতি শোকাহত, এমন সময়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলা নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হাদির শহীদি মৃত্যুতে জাতি শোকার্ত। এই জাতীয় শোকের মুহূর্তে এক শ্রেণির হঠকারী দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে ছায়ানটে হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। তিনি বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী হাদির মৃত্যুতে কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা কেবল ফৌজদারী অপরাধই নয়, এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থী।
উপদেষ্টা আরও জানান, এই নিন্দনীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। এছাড়া ছায়ানট ভবনে সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ছায়ানট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করবে।
তিনি সব ধরনের হঠকারী ও সহিংস কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে পাওয়া গেলে বৃহস্পতিবার রাতেই শাহবাগে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে একদল লোক কারওয়ানবাজারের প্রথম আলো কার্যালয় ও ডেইলি স্টার ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। রাতের বেলায় বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
শরিফ ওসমান হাদি জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন। তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকা-৮ এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।