ঢাকা: বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চল ‘সেভেন সিস্টার্স’ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যকে সরকারের অবস্থান নয় বলে স্পষ্ট করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বিশ্বাস করে না এবং এ ধরনের কাউকে আশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
আজ বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “প্রথমেই প্রশ্ন হচ্ছে, হাসনাত কি সরকারের অংশ? তিনি তো সরকারের অংশ নন। কাজেই তাঁর বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয়। সরকারের বক্তব্য হলে সেটা আমি বলতাম অথবা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে জানানো হতো। এ কারণে বিষয়টি অনেকটাই অবান্তর।”
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় এক সমাবেশে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ভারত নাকি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকারকে সম্মান করে না এবং দাবি করেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ‘সেভেন সিস্টার্স’কে ভারত থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে।
হাসনাতের এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশে–বিদেশে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে।
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের একটি সুস্পষ্ট নীতি আছে—আমরা কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করি না। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী ব্যক্তিকে কখনোই আশ্রয় দেবে না। এটি এই সরকারের অবস্থান, এবং আমি মনে করি বাংলাদেশের কোনো সরকারই এমনটা করবে না।”
তিনি আরও বলেন, “হাসনাত একজন রাজনৈতিক অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে বক্তব্য দিতে পারেন। কিন্তু সেটাকে সরকারের অবস্থান হিসেবে দেখা যাবে না।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারিভাবে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করা হলো।