সিলেট ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৫
*স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী:* পদ্মা নদীর সাড়াঘাট এলাকায় হাইকোর্টের একটি পুরনো আদেশকে ঢাল বানিয়ে ১৭ বছর ধরে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে জাকারিয়া পিন্টু, সুলতান আহমেদ টনি ও ‘বালু দস্যু’ আবু সাঈদ খানের নেতৃত্বাধীন চক্র। তাদের তৎপরতায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে হার্ডিং ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ভিত্তি হুমকির মুখে।
অন্যদিকে, নাটোরের লালপুরে বৈধ বালু মহালের ইজারাদাররা প্রতিবন্ধকতার মুখে—প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির শিকার সরকার। কীভাবে শুরু হয়েছিল এই অবৈধ কার্যক্রম?** ২০০৮ সালে পরিবেশ রক্ষার নামে পদ্মা নদীর ১২টি পয়েন্ট থেকে ১০ লাখ কিউবিক ফুট বালু উত্তোলনের অনুমতি পায় তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান: মেসার্স বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ** (মালিক: সুলতান আলী বিশ্বাস, রূপপুর) মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজ* (মালিক: আবু সাঈদ খান, কুষ্টিয়া) মেসার্স আনোয়ারুল হক মাসুম* (মালিক: কামরুন্নাহার, কুষ্টিয়া)। তবে অনুমতির পরিমাণ ছাড়িয়ে তারা ব্যাপকভাবে নদী খনন শুরু করে। অংশীদারদের মধ্যেকার বিরোধ ও আদালতের মামলা সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করলেও, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব আলম হানিফের প্রভাবে পুনরায় কার্যক্রম শুরু হয়। হাইকোর্টের আদেশের অপব্যবহার**
এই চক্র ১৭ বছর আগের হাইড্রোগ্রাফি জরিপের আদেশকে “চিরস্থায়ী লাইসেন্স” হিসেবে ব্যবহার করছে, যদিও পদ্মার গতিপথ ও গভীরতা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন: ২০০ বালগেট বালুর অনুমতি থাকলেও তারা প্রতিদিন শত শত গেট বালু তুলছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্মীরা চোখ বন্ধ করে দায়িত্ব পালন করছেন!” “যেখানে নদী ছিল, সেখানে এখন ফসলের মাঠ; আর যেখানে বসতবাড়ি ছিল, সেখানে গড়িয়েছে নদী!” জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে* হার্ডিং ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু**র ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প** (মাত্র ৩-৪ কিলোমিটার দূরে) ভূমিধসের ঝুঁকিতে। – নদীর গতিপথ পরিবর্তনে বাড়ছে *বন্যা ও ভাঙনের আশঙ্কা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়া* গত সপ্তাহে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঈশ্বরদী প্রশাসন ক্ষণিকের জন্য অভিযান চালালেও, ৩ জুলাই থেকে পুনরায় সক্রিয় হয় চক্রটি। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে নিষ্ক্রিয়।
চক্রটির সদস্যরা: – বিএনপি-আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করছে। – সাংবাদিক ও স্থানীয়দের *হুমকি-ধামকি* দিচ্ছে, প্রকাশ্যে *অস্ত্রের মহড়া* দিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত রাখছে। লালপুরে বৈধ বালু মহালের বিপর্যয়* নাটোরের লালপুরের *দিয়ার বাহাদুর বালু মহাল* (সরকারি রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস) ইজারাদাররা চরম ক্ষতির শিকার। গত বছর *রাসেল এন্টারপ্রাইজ* ইজারা নিলেও অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হয়ে মামলার শিকার হয়। এবার মোল্লা এন্টারপ্রাইজ** ১০ কোটি টাকায় ইজারা নিলেও চক্রটি তাদের কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে: মাঝি-মাল্লাদের ওপর হামলা* ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
স্পিডবোর্ডে অস্ত্রের মহড়া* দিয়ে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। মোল্লা এন্টারপ্রাইজের মালিক বলেন, “এভাবে চললে ভবিষ্যতে কেউ ইজারা নেবে না। প্রশাসনকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে!” এলাকাবাসীর দাবি: অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে *ড্রেজার ও যন্ত্রপাতি জব্দ* করা হোক। জাকারিয়া পিন্টু, আবু সাঈদ, টনি বিশ্বাস ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে *কঠোর আইনি ব্যবস্থা* নেওয়া হোক। হার্ডিং ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও রূপপুর প্রকল্পের *জরুরি সুরক্ষা* নিশ্চিত করা হোক। নতুন হাইড্রোগ্রাফি জরিপ* চালিয়ে নদীর গতিপথ পুনর্নির্ধারণ করা হোক। স্থানীয়দের আর্তনাদ স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, “নদী যাবে, সেতু যাবে, তারপর আমাদের ঘরবাড়ি… চোখের সামনে সব ধ্বংস হচ্ছে, কিন্তু প্রতিবাদ করলেই হামলার ভয়!” **পরিবেশবিদ ও প্রকৌশলীদের সতর্কতা “এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী।”
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by DHAKA-HOST-BD