১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

৬ মাস পর সিলেট নগরীতে প্রাথমিকভাবে ১৯০টি ইমারত নির্মাণের অনুমতি

admin
প্রকাশিত ২৫ জানুয়ারি, শনিবার, ২০২৫ ১১:৪৬:২৩
৬ মাস পর সিলেট নগরীতে প্রাথমিকভাবে ১৯০টি ইমারত নির্মাণের অনুমতি

Manual7 Ad Code

সিলেট নগরীতে ইমারত(বাসা-বাড়ি) নির্মাণের অনুমতির ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৯০টি ইমারত নির্মাণের অনুমতি মিলেছে। পর্যায়ক্রমে আরো ইমারতের অনুমতি দেয়া হবে কমিটির সাথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

 

 

 

Manual5 Ad Code

সিলেট নগরীতে প্রায় ৬ মাস ধরে ইমারত নির্মাণের অনুমতি বন্ধ রয়েছে। অনুমতি না পেয়ে অনেকেই বাসা-বাড়ি নির্মাণ করতে পারছেন না। এ অবস্থায় সম্প্রতি সিলেট অ্যাপার্টমেন্ট এন্ড রিয়েল এস্টেট গ্রুপ (সারেগ) সিলেট সিটি কর্পোরেশনের(সিসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করে অচলাবস্থা নিরসনের আহ্বান জানায়। এ প্রেক্ষিতে গত বুধবার ইমারত নির্মাণ অনুমোদন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১৯০টি ইমারত নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়।

Manual8 Ad Code

 

 

Manual7 Ad Code

যোগাযোগ করা হলে সিসিক-এর সিইও (যুগ্ম সচিব) ও ইমারত নির্মাণ অনুমোদন কমিটির সভাপতি রেজাই রাফিন সরকার জানান, আমরা ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা বৈঠক করে ১৯০টি ইমারতের অনুমতি দিয়েছি। কিছু আবেদন পেন্ডিং আছে। পেন্ডিং আবেদনের বিষয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন,সিসিকের পক্ষ থেকে আগামীতে বিল্ডিংয়ের প্ল্যান অনলাইনে নেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত অ্যাপস তৈরীর কাজ এরই মধ্যে ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। মে মাসের মধ্যে এই অ্যাপস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা যাবে বলে আমরা আশাবাদী। এটি চালু হলে আমরা নগরবাসীকে ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিতে পারবো।

 

 

 

 

কমিটির সদস্য সচিব ও সিটি কর্পোরেশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার নূর আজিজুর রহমান জানান, নগরীতে ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে সৃষ্ট জট খুলতে শুরু করেছে। ইমারত নির্মাণ কমিটির সভায় বেশ কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

Manual6 Ad Code

 

 

তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুমের ৬ মাস মূলত সিলেটে বাসা-বাড়ি নির্মাণের উপযুক্ত সময়। বাসা-বাড়ি নির্মাণের আশায় অনেকেই নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করেছেন। অনুমতি না পাওয়ায় তারা বাসা-বাড়ি নির্মাণ করতে পারছিলেন না। অনুমোদন পাওয়ায় তারা কিছুটা স্বস্তির নি:শ^াস ফেলছেন। তারা সিসিকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

 

 

সিসিকের একটি সূত্র জানায়, বছর খানেক ধরেই সিলেট নগরীতে নতুন বাসা-বাড়ি নির্মাণের অনুমতি পেতে সংশ্লিষ্টদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে, গত ৬ মাস ধরে অনুমতি প্রদান একেবারেই বন্ধ ছিল। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সারেগ নেতৃবৃন্দ সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রধান প্রকৌশলীর সাথে দেখা করে এ বিষয়ে তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।