নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেট-ঢাকা, সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে ২টি স্পেশাল ট্রেন চালু, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে সংস্কার সহ নানা দাবিতে সিলেটে ট্রেন যাত্রীদের মানববন্ধন

আন্দোলন তীব্র হচ্ছে বিভাগ জুড়ে।সময় বৈষম্যের বিরুদ্ধে ফুসে ওঠার। সিলেট কুলাউড়া রেলপথে ট্রেন যাত্রীদের দাবি তারা বৈষম্যের শিকার। আর এ বৈষম্য দূর করতে ৮ দফা দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছেন সচেতন জনতা। যুক্তিক দাবির সাথে দিনে দিনে একমত পোষণ করে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও যোগ দিচ্ছে এক কাতারে। সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী নেতারা রয়েছেন এ আন্দোলনের নেতৃত্বে।

সিলেট-ঢাকা, সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে ২টি স্পেশাল ট্রেন চালু, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকরণসহ ৮ দফা দাবি তাদের।
এ সব দবীতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা ।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সিলেটের সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ কুলাউড়া ও সর্বস্তরের ট্রেনযাত্রীরা।
সিলেট রেলওয়ে উন্নয়ন ফোরাম, বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যান ফোরাম সিলেট।
মানববন্ধনে সিলেট বিভাগের যুব সংগঠক এডভোকেট আমিন উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও আন্দোলনের সমন্বয়ক কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম আতিকুর রহমান আখইয়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক দৈনিক যুগান্তরএর কুলাউড়া প্রতিনিধি সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম।
এছাড়া মানববন্ধন চলাকালে একতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি এডভোকেট এম এ সালেহ আহমদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আসকের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি রাকিব আল মাহমুদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শামীম আহমদ রনি, দৈনিক প্রভাতবেলার সম্পাদক কবির আহমদ সোহেল, যুব সংগঠক এহসানুল কবির মিশু, এডভোকেট সৈয়দ কাওসার আহমদ, যুব জমিয়ত কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: কবির আহমদ, কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খালেদ পারভেজ বখ্শ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বারী সোহেল, কালের কন্ঠ প্রতিনিধি সাংবাদিক মাহফুজ শাকিল, কালবেলা প্রতিনিধি মহি উদ্দিন রিপন, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান, প্রচার সম্পাদক এইচ ডি রুবেল, শ্রমিক নেতা ইসলাম উদ্দিন জ্ঞানী, জাহিদ মিয়া,
সংগঠক আব্দুস শুকুর ছরকুম, আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা ৮ দফা দাবি জানিয়ে বলেন, সিলেট-ঢাকা, সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে ২টি স্পেশাল ট্রেন চালু, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকতরণ, আখাউড়া-সিলেট সেকশনে অন্ত:ত একটি লোকাল ট্রেন চালু, আখাউড়া-সিলেট সেকশনে সকল বন্ধ স্টেশন চালুকরণ, কুলাউড়া জংশন স্টেশনে বরাদ্ধকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, সিলেট-ঢাকাগামী আন্ত:নগর কালনী ও পারাবত ট্রেনের আজমপুরের পর ঢাকা অভিমুখী সকল স্টেশনের যাত্রা বিরতী প্রত্যাহার। সিলেটের সাথে চলাচলকারী ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন রেখে ভালো ইঞ্জিল যুক্ত করে যাত্রীদের চাহিদা অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, বৃটিশ আমলে নির্মিত সিলেট- আখাউড়া রেলপথটিতে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। সকল সরকারের আমলেই এই রেলপথটি বৈষম্যের শিকার। গত একবছরে ঢাকা-সিলেট রেলপথ থেকে সরকার তৃতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করেছে। কিন্ত রেলের উন্নয়নে বাস্তব কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এই রেলপথের উন্নয়নে
৮ দফা না মানলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ।
সর্বস্তরের ট্রেন যাত্রীবৃন্দ নামক আন্দোলনের সমন্বয়ক আজিজুল ইসলাম জানান,
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত ১১ আগস্ট কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে রেল উপদেষ্টা, সচিব ও রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে প্রচার লিফলেট বিতরণ, সচেতনতা বৃদ্ধিতে মতবিনিময় শেষে পদক্ষেপ নেয়া হবে ৩০ আগস্ট পরবর্তী কর্মসূচির। পড়া সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তাদের হাতে ৮ দফা দাবি সম্মলিত লিফলেট তোলে দেন সিলেট আখাউড়া রেলপথে ট্রেন যাত্রীদের বৈষম্য দূরীকরণে আন্দোলনে তাকান নেতৃবৃন্দ।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোঃ নুরুল ইসলাম ৮ দফা দাবী আদায়ের প্রচার লিফলেট পেয়েছেন বলে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে কুলাউড়ার বাসিন্দা সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেস ক্লাবের সহ সাধারন সম্পাদক এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া জানান,সিলেট আখাউড়া রেলপথের ট্রেন যাত্রীরা দীর্ঘদিন থেকে বৈষম্যের শিকার । অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের ন্যায্য দাবি না মানলে ট্রেন যাত্রীরা বসে থাকবে না। এ রেলপথের টিকেট বৈষম্য, ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চলাচল,মালামাল পরিবহনে নানা রকম বাহানা। কর্মকর্তাদের ইন্ধনে টিকেট চলে যায় দালালদের পকেটে। অনলাইন হওয়ার পরও যাত্রীরা টিকেট বৈষম্যে। এসব দূরীকরণে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।