সিলেট ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
এখনো ধরাছোয়ার বাইরে স্বর্ণ চোরাচালানের মূলহোতা দুলাল ও মোবারক
জাকির হোসেন সুমন স্টাফ রিপোর্টার::- ধরাছোয়ার বাইরে স্বর্ণ চোরাচালানের মূলহোতা ইয়াকুব আলী হাজারী ওরুপে সোনা দুলাল,পিতা বাবুল হাজারি জেলা কুমিল্লা থানা চৌদ্দগ্রাম ছুটখীল ,মো: মোবারক হোসেন সাং কাকিরতলা,থানা নাঙ্গলকোট জেলা কুমিল্লা,মো: সাজু মিয়া দক্ষিণ ছিরিগাঁও থানা লৌহজং জেলা মুন্সিগঞ্জ,মো: লিটন মিয়া,সাং করের বোমরা থানা নাঙ্গলকোট জেলা কুমিল্লা। এই শীর্ষ স্বর্ণ চোরাচালানের মূলহোতাদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাকারবারের তথ্য দিয়েছে দুবাই ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। নজরদারিতে রেখেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। স্বর্ণ চোরাচালানের মূল হোতা ইয়াকুব আলী হাজারী ওরফে সোনা দুলাল,মো: মোবারক হোসেন সহ বাকিরা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না স্বর্ণ পাচার। শুল্ক গোয়েন্দাদের কড়া নজরদারির মধ্যেও শুল্ক ফাকি দিয়ে আসছে স্বর্ণ। বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে। আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর হিসাবে চলতি বছরের তিনমাসে প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
চোরাচালানে জড়িত স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী দুলাল হাজারী ওরফে সোনা দুলাল এবং মো: মোবারক হোসেন সহ বাকিরা দীর্ঘ দিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হলেও কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা এসব গডফাদার দের চলনায় ফেঁসে যাচ্ছে অসহায় প্রবাসীদের টার্গেট করে ওদের মাধ্যমে বাংলা টাকার কোন লোক দেখিয়ে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে কেজি কেজি সোনার বার গ্রেফতার হচ্ছে অসহায় প্রবাসীরা,ধরাচোয়ার বাইরে মূলহোতারা। এদের বিরুদ্ধে রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায় ও থানায় একাধিক স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা।
যার ফলে তাদের স্বর্ণের চোরাচালানের অব্যাহত রেখেছেন। তাদের মালিকানাধীন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভার্স স্বর্ণ পাচার সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন উল্লেখ চোরাচালানি ব্যক্তিরা।শুল্ক গোয়েন্দারা মাঝে মধ্যে চোরাচালানের স্বর্ণ জব্দ করছেন এবং গত ২৬/০২/২০২৪ ইং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানা পুলিশ তাদের পাঠানো স্বর্ণের বারসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে মামলা রজু করে।
বাহকদের তুলে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে।
মামলা হচ্ছে,তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু চোরাচালানের মূলহোতা মো: ইয়াকুব আলী দুলাল,ও মোবারক হোসেন সহ মূলহোতারা অধরাই থেকে যাচ্ছে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরদারিতে রয়েছেন স্বর্ণ চোরকারবারিদের গড ফাদার দুলাল,ও মোবারক হোসেন। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে,মূলহোতা ইয়াকুব আলী দুলাল,ও মোবারক হোসেন,দুবাই এবং সিঙ্গাপুর সিন্ডিকেটের সহায়তায় দুবাই এবং সিঙ্গাপুর হতে বাংলাদেশে আগমানকারী বিভিন্ন যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকার দেশে পাঠান। এবং বিধি বর্হি:ভূত ভাবে মূল্য পরিশোধসহ বিদেশে অর্থ পাচার করেন। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে ইয়াকুব আলী দুলাল,ও মোবারক হোসেন মানি লন্ডারিংয়ের সুনিদিষ্ট তথ্য দিয়েছে দুবাইয়ের ফিন্যান্সিয়াল ইল্টেলিজেন্স ইউনিট।
তাদের বিরুদ্ধে দুবাই ভিত্তিক স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে দুবাইয়ের অর্থ পাচার প্রতিরোধ ইউনিট। চোরাচালানের রহস্য উন্মোচনের জন্য ইয়াকুব আলী দুলাল,ও মোবারক হোসেন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মজুদ সব স্বর্ণের হিসাব রয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যশোর, সাতক্ষীরা, সিলেট সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪৬ কেজি ৪৮৬ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছরে (২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত) অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৫৮৩ কেজি সোনা জব্দ করেন। জব্দ হওয়া সোনার বাজারমূল্য প্রায় ২ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। এসব ঘটনায় হওয়া মামলায় ২৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ইয়াকুব আলী দুলাল ও মোবারক হোসেন অবৈধ স্বর্ণালংকার ব্যবসার শাক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। চোরাকারবারের মাধ্যমে তারা অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন তারা অবৈধ কারবার চালিয়ে গেলেও এতদিনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দেশে-বিদেশে অন্তত অর্ধশতাধিক গডফাদার চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত তাদের নেতৃত্ব।
এসব গডফাদারদের শনাক্ত ও পরিচয় বের করা হয়েছে। কিন্তু উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ও অনেক গডফাদার দেশে ও দেশের বাহিরে থাকার কারণে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। অবৈধভাবে স্বর্ণের টাকা দিয়ে অস্ত্র ও মাদক কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সুত্র। এসব বিষয়ে ইয়াকুব আলী দুলাল ও মোবারক হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বার তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তারা ধরেননি। নাম পরিচয় দিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।
সংবাদটি চলমান
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
প্রধান সম্পাদক : ডাঃ বাপ্পি চৌধুরী,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by M-W-D