বিষয়: মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগ
সিদ্ধান্ত গ্রহণ: মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর), বিএসইসির ৯৭৮তম সভা
সভাপতি: বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ
🔹 মূল ঘটনা
এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত ৬টি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে
পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার লিমিটেডে (বর্তমানে কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড)
২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়, যা বিধিবহির্ভূত।
-
প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা হলেও ২৮৯.৪৮ টাকা দরে কেনা হয়।
-
কোম্পানির ব্যবসা বন্ধ ছিল, এনএভি ঋণাত্মক ২.৭৪ টাকা।
-
ওটিসি প্ল্যাটফর্মে শেয়ারদর ছিল মাত্র ১৩.৬০ টাকা।
🔹 জরিমানা ও শাস্তি
মোট ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
১ কোটি টাকা করে জরিমানা:
১. রিয়াজ ইসলাম (সিইও, এলআর গ্লোবাল)
২. রেজাউর রহমান সোহাগ
৩. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শরীফ আহসান
৪. মেদিনা আলী
৫. সৈয়দ কামরুল হুদা
৬. মো. ওমর সোব চৌধুরী
অতিরিক্ত জরিমানা:
🔹 অতিরিক্ত সিদ্ধান্ত
-
রিয়াজ ইসলাম ও শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন পুঁজিবাজার কার্যক্রমে নিষিদ্ধ।
-
বিজিআইসি (Bangladesh General Insurance Company) ফান্ড তদারকিতে ব্যর্থ হওয়ায় ৩ কোটি টাকা জরিমানা।
-
শফিক বসাক অ্যান্ড কোম্পানি (চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস)–এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি এফআরসিতে পাঠানো।
-
রেজাউর রহমান সোহাগকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার দায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
-
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শরীফ আহসানকে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টির দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা।
🔹 দুদকে পাঠানো তদন্ত
তদন্তে দেখা যায়, রিয়াজ ইসলাম ও কোয়েস্ট বিডিসির এমডি এরশাদ হোসেনের মধ্যে যোগসাজশে শেয়ারমূল্য ফুলিয়ে দেখানো হয়।
এই অনিয়মে মানি লন্ডারিংয়ের সন্দেহ পাওয়া গেছে, বিষয়টি দুদকে পাঠানো হয়েছে।