গরমে চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে, স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫

গরমে চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে, স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা

ঢাকা: তীব্র গরমে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় ও হিমায়িত মিষ্টান্ন খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। নতুন গবেষণা অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকানদের চিনিযুক্ত খাবারের গ্রহণও বেড়ে যাচ্ছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী প্যান হে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন খাদ্য উৎপাদন, প্রাপ্যতা ও মানে বড় প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবারগুলোর খাদ্য ক্রয়ের তথ্য ও স্থানীয় আবহাওয়ার তথ্য মিলিয়ে, তাপমাত্রা বেড়ে গেলে চিনি গ্রহণও বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে সফট ড্রিংক ও জুসের মতো চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খাওয়া হয়। প্রতি ১.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে প্রতিদিন মাথাপিছু চিনি গ্রহণ গড়ে ০.৭ গ্রাম বেড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে ৬৮ থেকে ৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার মধ্যে।

গরমে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়, ফলে মানুষ ঠান্ডা ও মিষ্টি খাবার-পানীয়ের দিকে বেশি ঝুঁকে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারগুলোতে এ প্রবণতা বেশি। কারণ তুলনামূলক সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় তারা বেশি চিনিযুক্ত খাবার কিনে।

গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি দূষণ কমানো না যায়, ২০৯৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মাথাপিছু দৈনিক চিনি গ্রহণ প্রায় ৩ গ্রাম পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াবে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন পরামর্শ দিয়েছে, প্রতিদিন মোট ক্যালরির মাত্র ৬ শতাংশের বেশি যেন চিনি থেকে না আসে। পুরুষদের জন্য সর্বোচ্চ ৩৬ গ্রাম, নারীদের জন্য ২৬ গ্রাম।

প্যান হে বলেন, “চিনি গ্রহণের স্বাস্থ্যঝুঁকি আগেই আলোচিত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত হলে বিষয়টি আরও জটিল হবে। নীতিনির্ধারকদের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উষ্ণ আবহাওয়ায় খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন সামাজিক বৈষম্য বাড়াতে পারে, এবং বিশ্বজুড়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব বোঝার জন্য।

সর্বশেষ নিউজ