গোয়াইনঘাটের ৩নং পূর্ব জাফলং নয়া বস্তি এলাকায় বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাট এ-র অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৪

গোয়াইনঘাটের ৩নং পূর্ব জাফলং নয়া বস্তি এলাকায় বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাট এ-র অভিযোগ

গোয়াইনঘাটের ৩নং পূর্ব জাফলং নয়া বস্তি এলাকায় বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাট এ-র অভিযোগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ::- সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায় কিছু সন্ত্রাসীরা গত ৫ আগস্টের পর থেকেই এলাকার সকল ধরনের বালু, পাথর মানুষের বাড়ি-ঘর জ্বালাও পুড়াও, ভাঙচুর, লুটপাট থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তাদের মাধ্যমে হচ্ছে না। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষ সব সময় আতঙ্কের ভিতর রয়েছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনী গতকাল জানা যায় গত ০৬/১১/২৪ ইংরেজি বুধবার দুপুর আনুমান ১২.৩০ মিনিটের সময় জাফলং নয়া বস্তি গ্রামের সাবেক ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান কে রামদা এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং তাহার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণ অলংকার যার আনুমান মূল্য ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এবং আমার স্বামীর বিদেশ থেকে প্রেরিত ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা সহ ঘরের ব্যবহৃত অনেক দামি মালামাল ভাংচুর করে ও অসংখ্য দামি মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ি ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে যায় সন্ত্রাসী বাহিনী ।

জানা যায় গত গত ০৬/১১/২৪ ইংরেজি বুধবার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়া বস্তি এলাকায় এসব সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক নদী থেকে বালু পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করতেছে বিদায় খাদিজা বেগমের বসতবাড়ি নদীর কিনারায় থাকার কারণে তাদের বাড়িঘর সবকিছু নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে বলে খাদিজা বেগমের পরিবারের লোকজন বাঁধা দেওয়ার কারণে একাধিকবার তাদের পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে এইসব সন্ত্রাসীরা ।

এতে গতকাল ৭ নভেম্বর আবারো বালু পাথর উত্তলন করতে আসলে তারা বাঁধা প্রধান করিলে উত্তেজিত হয়ে এসব সন্ত্রাসীরা গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবেক ছাত্র দলের সহ সভাপতি খলিলুর রহমান সহ পরিবারের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নগদ টাকা সহ ঘর থেকে স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায় পরবর্তীতে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এসব সন্ত্রাসীরা বলে জানা গেছে।

আর এসব সন্ত্রাসীরা হলেন-
আকবর হোসেন মুরাদ, আজগর হোসেন, ইউসুফ আলী, সোহেল আহমেদ, মাসুদ রানা, আব্দুর রাজ্জাক, শুকুর আলী মাহাজন, রহিম উদ্দিন সহ
আরো বহিরাগত ২০ থেকে ২২ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী এ ঘটনা টি ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে খাতিজা বেগম বাদী হয়ে গোয়াইন ঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দুই পক্ষেরই কাছ থেকে আমি দুইটি অভিযোগ পেয়েছি, যার কারণে আমরা উক্ত বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবো।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ