১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ফাজিল চিশত এলাকার অসহায় নারী সাবিনা ইয়াসমিনের বাসা দখলের অভিযোগ

admin
প্রকাশিত ১১ অক্টোবর, শুক্রবার, ২০২৪ ২৩:৩৭:৫৫
ফাজিল চিশত এলাকার অসহায় নারী সাবিনা ইয়াসমিনের বাসা দখলের অভিযোগ

Manual8 Ad Code

ফাজিল চিশত এলাকার সাবিনা ইয়াসমিনের বাসা দখল করতে বিএনপির নামধারী নেতা কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

Manual8 Ad Code

সিলেট নগরীর সুবিদবাজার ফাজিল চিশত এলাকায় ৫/৫ নং বাসার মালিকানা নিয়ে বিচারাধীন মামলা থাকার পরও একের পর এক হামলা ও মামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নামধারী নেতা কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে বাসা দখল করতে ঘরে আটকে রেখে মারধর করা হয় মালিক দাবিদার নারী ও তার মেয়েকে। পরে যুবদল নেতার হস্তক্ষেপে বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। বুধবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নগরীর সুবিদবাজারের ফাজিল চিস্ত ৫/৫ নম্বর বাসার মালিক সাবিনা ইয়াছমিন। তিনি, সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম শিপারের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের কালাইরাগ গ্রামের এমদাদ আলীর ছেলে বিএনপি নামধারী নেতা কামাল উদ্দিন সাবিনা ইয়াসমিনের বাসাটি দখলের চেষ্টা করে আসছেন

গত ২৩ সেপ্টেম্বর র‌্যাব সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম শিপারকে যে মামলায় আটক করে সেই মামলার নেপথ্যে রয়েছেন কামাল। তাকে আটক করার পর ৩০ সেপ্টেম্বর কামাল উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের বাসায় হামলা ভাংচুর, মারধর ও লুটপাট করেন।

ছাত্রজনতার আন্দোলনের ঘটনায় সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী মোঃ নজরুল ইসলাম শিপার ও ছেলে হৃদয় এবং পঙ্গু ভাড়াটিয়া মোঃ আজিজ আহমদ ও তার স্কুল পড়ুয়া ছেলে রাহীকে মামলার আসামি করা হয়।

Manual1 Ad Code

বাসা নিয়ে বিরোধ প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন উল্লেখ করেন ফাজিল চিস্ত এলাকার ৫/৫ পাঁচতলা বাসায় তিনি ১৭বছর ধরে মালিক হিসেবে বসবাস করছেন। বাসার মুল মালিক ছিলেন জালালাবাদ থানার চানপুরের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসীর আব্দুল হান্নানের প্রথম স্ত্রী সোনাবান বিবি।

২০১৭ সালে বিএনপি নামধারী নেতা কামাল উদ্দিন সোনাবান ওরপে মনোয়ারা নামের আরেক মহিলার কাছ থেকে বাসা ক্রয় করেন এ নিয়ে আদালতে স্বত্ব মামলা (নং- ১৪/২৩) চলছে।

Manual6 Ad Code

কামাল বাসার অর্ধেক অংশে বসবাস করছেন।
পুরো বাসা দখল নিতে সরকার পতনের পর হামলা-মামলা শুরু করেন। গত ২৮ আগষ্ট নগরীর নয়াসড়কের নান্না বিরানী হাউজের কর্মচারী পরিচয়ে আক্কাস আলী বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় যে মামলা করেন তাতে সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম শিপারকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় সিলেট সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম শিপার আটক হওয়ার পর ৩০ সেপ্টেম্বর বাসায় হামলা করেন বিএনপির নামধারী সন্ত্রাসী কামাল ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বাসার লুটপাট ও সিসিটিভি ক্যামেরাসহ বেশ কিছু ঘরের আসবাবপত্র সহ ভাঙচুর করে এবং সাবিনা ইয়াসমিন ও তাহার ছেলে হৃদয়কে বেধড়ক মারধর করে আহত করেন।

পরবর্তীতে আহত অবস্থায় তিনি ও তার ছেলে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনায় হামলা করতে গেলে পুলিশ গ্রহন না করায় আদালতে মামলা করা হয়।

সাবিনা ইয়াসমিন আরও জানান, তার স্বামী মোঃ নজরুল শিপার কারাগারে থাকা অবস্থায় আরও দুটি মামলায় তাকে এবং তার ছেলে ও ভাড়াটিয়াকে আসামি করা হয়েছে। গত ৪ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায়, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দাবি করে তার স্বামীকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা (৮/৪৪৭) করা হয়। বাদি কোম্পানীগঞ্জের কালাইরাগের তৈয়ব আলীর ছেলে মাহমুদুল হাসান। এ মামলায় আসামি করা হয় ভাড়াটিয়া ছাতকের আন্দারগাঁয়ের পঙ্গু মোঃ আজিজ আহমদ ও তার স্কুল পড়ুয়া ছেলে স্কলার্সহোম স্কুলের শিক্ষার্থী রাহীকে আসামি করা হয়েছে সাবিনা ইয়াসমিনের ছেলে হৃদয় কেউ । মামলায় ১৯ জুলাইর ঘটনা উল্লেখ করা হয়। অথচ তার ছেলে নজমুল ইসলাম হৃদয় ১৫ জুলাই ছাত্রজনতার আন্দোলনে অংশগ্রহনকালে সে আহত হয়। ২২ জুলাই তার ব্যান্ডেজ খোলা হয়। সে কিভাবে ১৯ জুলাইর ঘটনায় জড়িত ছিল। ৪ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় আরেকটি মামলা করেন আখালিয়ার উপরপাড়ার নুরুল হকের ছেলে সুজন আহমদ। এ মামলায় তার স্বামীকে ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উল্লেখ করে ২ নং ও ছেলে হৃদয়কে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করে আসামি করা হয়। অথচ তারা কোনো রাজনৈকি দলের সাথে জড়িত নয়। এসব মামলার বাদিরও খোজ মিলছেনা বলে জানান সাবিনা।

Manual8 Ad Code

সাবিনা দাবি করেন তার বাসার দখল ও তাদের উচ্ছেদ করতেই এসব মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন কামাল। এর আগেও একাধিক মামলা করেছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাসায় তাদের আটকে রেখে মারধর শুরু করেন কামালা ও তার লোকজন। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদের হস্তক্ষেপে তারা বাসা থেকে উদ্ধার হন। সাবিনা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও তার স্বামীর মুক্তি দাবি করে স¤প্রতি দায়ের করা মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।