গত জুনে ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়ে ২৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে। চার মাস পর নিহত চার যাত্রীর পরিবার মার্কিন বিমান নির্মাতা বোয়িং ও যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
মঙ্গলবার টেক্সাসভিত্তিক ল্যানিয়ার ল ফার্মের মাধ্যমে দায়ের করা এ মামলার নথি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির হাতে এসেছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ ফুয়েল সুইচের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নকশাগত ঝুঁকি সম্পর্কে জেনেও বোয়িং ও হানিওয়েল যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি বলেও মামলায় দাবি করা হয়।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
-
১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১ নামের বোয়িং ৭৮৭ ‘ড্রিমলাইনার’ বিধ্বস্ত হয়।
-
এতে ২২৯ জন যাত্রী, ১২ জন কেবিন ক্রু এবং মাটিতে থাকা ১৯ জনসহ মোট ২৬০ জন নিহত হন।
-
প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, উড্ডয়নের মুহূর্তে বিমানের ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে বিমান থ্রাস্ট হারায়।
তদন্ত ও প্রশ্নবোধক বিষয়
ভারতের এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর (এএআইবি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাট অফ’ অবস্থায় চলে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুইচ হঠাৎ নিজে থেকে বন্ধ হওয়া অস্বাভাবিক এবং প্রায় অসম্ভব। এটি হাত দিয়ে করতে হয়।
পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ
নিহতদের পরিবারের দাবি, ফুয়েল সুইচের নকশাগত ত্রুটির কারণে সহজেই দুর্ঘটনাবশত জ্বালানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অথচ বোয়িং ও হানিওয়েল এ বিষয়ে এয়ারলাইনগুলোকে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি কিংবা যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি। শুধু একটি সাধারণ পরামর্শ দিয়ে দায় সেরেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান
বোয়িং মামলা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তারা ভারতের এএআইবির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের দিকেই ইঙ্গিত করেছে। হানিওয়েলের পক্ষ থেকেও এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পরবর্তী ধাপ
এ দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালে।