মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটে যখন সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যাটিং লেজেগোবরে, এবং বাংলাদেশের ইনিংস ২০০ পার হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ পাচ্ছিল, তখনই রিশাদ হোসেনের ক্যামিও ইনিংসই বাংলাদেশকে কিছুটা স্থিতিশীল করেছে। প্রথম ওয়ানডের মতোই দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ঘটেছে একই দৃশ্য—যার ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশ উদ্ধার পেল, অথচ সুপার ওভারে তাঁকেই নামানো হয়নি।
রিশাদের ঝোড়ো ব্যাটিং
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রিশাদ মাত্র ১৪ বলে খেলেছেন ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস, যেখানে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কা ছিল। তাঁর ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং—সব বিভাগ মিলিয়ে এখন তিনি এক ‘প্যাকেজ’ ক্রিকেটার হিসেবে দৃষ্টিগোচর। মিরপুরের এই ইনিংস বাংলাদেশের ইনিংসকে কিছুটা দাঁড় করিয়েছিল, কিন্তু সুপার ওভারে নামানো হয়নি।
সুপার ওভার নিয়ে বিস্ময়
সুপার ওভারে ১১ রানের লক্ষ্যও পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে ক্যারিবীয় বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন বলেন, “হ্যাঁ, আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম। যে ম্যাচে সবচেয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, ১৪ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছে, সে নামলই না সুপার ওভারে। ছোট দিকের সীমানার দিকে যে দুটি ছক্কা মেরেছিল, সেখানেই সে আরও মারতে পারত।”
কোচিং সিদ্ধান্ত ও ব্যাখ্যা
বাংলাদেশের সৌম্য সরকার ম্যাচ শেষে জানালেন, “এটা সবাই চিন্তা করিনি। কোচ ও অধিনায়ক চিন্তা করেছে। এখানে আমরা জানতাম না আকিল বোলিং করবে। যদি দুজন বাঁহাতি নেমে যেত, এবং কোনো অফ স্পিনার থাকত, তাহলে বিপদ হতো। এ জন্য ডানহাতি-বাঁহাতি সমন্বয় রাখা হয়েছিল।”
আকিলের মন্তব্য
আকিল হোসেন আরও যোগ করেন, “সে না নামায় আমাদের পক্ষে কাজ করেছে। রিশাদ এমন এক ব্যাটার, যার শক্তি ও লম্বা খেলা ভয়ঙ্কর। তাঁকে না পাঠানোর কারণে আমরা কৃতজ্ঞ।”
সিরিজের পরিস্থিতি
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বর্তমানে ১-১ সমতায়। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে হবে মিরপুরে আগামীকাল, বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায়।