১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে ছাত্রদল নেতা কামরুল হাসানকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা এবং হাসান’র বিবৃতি

প্রকাশিত ২৯ নভেম্বর, শুক্রবার, ২০২৪ ২৩:৩৪:৪৪
সিলেটে ছাত্রদল নেতা কামরুল হাসানকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা এবং হাসান’র বিবৃতি

Manual8 Ad Code

সিলেটে ছাত্রদল নেতা কামরুল হাসানকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা এবং হাসান’র বিবৃতি

এমকে তালুকদার ও ফকির হাসান সিলেট থেকে ফিরে :: ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দালাল এবং ঢাকা মহানগরের শেরে বাংলা নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডজন খানের মামলার পলাতক আসামী সেন্টু রহমান এবং সিলেটে তথাকথিত ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সেকু এবং সিলেট মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক উমেদুর রহমান উমেদের জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামি এই সেন্টু রহমানকে আশ্রয়, পুনর্বাসন এবং আইনের হাত থেকে বাঁচাতে তাদের এমন ভূমিকা নিয়ে সিলেটে ধুম্রোজালের সৃষ্টি হয়েছে এ ব্যাপারে ছাত্রদলের কঠুর পরিশ্রমি ও রাজপথে থাকা বারবার নির্যাতিত ছাত্রদলের বিশিষ্ট নেতা কামরুল হাসান, যিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের নেতৃত্বে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন এবং অতীতে সিলেট জেলা ছাত্রদলের প্রাক্তন সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন,তাছাড়া ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রভাবশালী নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সেকেন্ড ইন কমান্ড, টেন্ডার মাফিয়া শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী যুবলীগ ক্যাডার সেন্টু রহমানকে পুনর্বাসন করতে এবং বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উমেদুর রহমান উমেদ ও সেকু গংরা সম্প্রতি সিলেটে তুমুল ভাবে সমালোচিত হচ্ছেন।

 

তাছাড়া এ বিষয় নিয়ে সিলেটের তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি ও যুবদলের একাধিক সিনিয়র নেতা এ প্রতিবেদককে জানান যে,ঢাকাইয়া আওয়ামী ক্যাডার সেন্টু কে বাঁচাতে কারা নির্যাতিত পরিশ্রমী এবং দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ রাজপথে থাকা কামরুল হাসান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের নিবেদিত প্রাণ। যে নাকি ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকায় ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার হয়।

 

অতঃপর মিথ্যা মামলায় রিমান্ডে এনে যুবলীগ ও পুলিশ কর্তৃক অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। কারাগার থেকে নিয়ে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ১৬ নভেম্বর তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ খবিরুল হক সাহেব ইন্তেকাল করেন এবং পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় ।

 

দেশের সব কয়টি জাতীয় পত্রিকা তার পিতার নিউজ কাবার করে এবং তাদের হেডলাইন টি ছিল,” পিতার মৃত্যুতেও জামিন মিলেনি রিমান্ডে থাকা ছাত্রদল নেতা কামরুল হাসানের”। দলের দুঃসময়ে পাশে থাকা নির্যাতিত এ ছাত্র নেতা এবং তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি নতুন অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে।

 

এই অপপ্রচারের উদ্দেশ্য হতে পারে তার সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এ ধরণের ভিত্তিহীন তথ্য অনেকটাই জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, বিশেষ করে যখন সেই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হয় না।

Manual8 Ad Code

 

Manual6 Ad Code

বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার সমর্থক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে কামরুল হাসানের প্রকৃত অবদান এবং দক্ষ নেতৃত্ব তুলে ধরার গুরুত্ব অপরিসীম। তারা সকলে মিলে তার অর্জন এবং কর্মজীবনের ইতিবাচক দিকগুলোকে আরও বেশি করে প্রচার করতে পারেন যেন মানুষ আসল সত্য জানতে পারে। এছাড়া, সাধারন জনমত গঠন করার জন্য সামাজিক মিডিয়া এবং অন্যান্য প্রচার মাধ্যমগুলিতে সক্রিয় থাকাও জরুরি।

 

এছাড়া, কামরুল হাসানের পক্ষে উপযুক্ত এবং দায়িত্বশীল আদর্শকে প্রমান করার মাধ্যমে তার প্রতি সদয় মনোভাব বজায় রাখার জন্য তার সমর্থকদের আহ্বান জানানো যেতে পারে। এমনকি প্রকৃত স্থির ও জ্ঞানবুদ্ধি সম্পন্ন নেতৃত্বের দ্বারা সঠিকভাবে সমস্ত অপপ্রচারকে দূর করার চেষ্টা করা উচিত। সুতরাং, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিশেষজ্ঞদের মতে তার দল এবং সমর্থকদের এ বিষয়ে আরও স্বচ্ছ এবং সচেতন থাকা প্রয়োজন।

 

এ বিষয়ে জানতে কামরুল হাসানের সাথে এ প্রতিবেদকের মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন,স্বৈরাচারী,ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের ‘আমি ডামি’ কে, পুনর্বাসন এত সহজ হবে না, পুনরায় বাকশাল কায়েমের লোভে পড়ে, তুমরা হয়তো ভুলে গিয়েছো, মনে রাখো, এখনও চার মাস পূর্ণ হয়নি, আপার চাটুকারদের ভুলে গেলে চলবে না, তোমরা হয়তো ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবহেলার চোখে দেখছো, কিন্তু না, আমি কোনো ক্ষমতার জোরে বলছি না, আমি একা , আমি বাংলার রাখাল রাজার সৈনিক, সিলেটের হাসান রাজা, যে কিনা জকিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম হায়দ্রাবন্ধের মেঠো পথ থেকে বাকশালীদের ও তোমাদের মতো দালালদের বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটে এসেছে।

 

আর হযরত শাহজালাল রহঃ এবং ৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি, নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী ও ইফতেখার আহমদ দিনার ভাইয়ের সাথে থেকে ফ্যাসিবাদী ও দালালদের বিরুদ্ধে সিলেটের রাজপথে হুংকার দিয়েছিলাম সেদিন।

 

যে হুংকারে আমার নামের পিছনে উপাধি লাগে হাসান রাজা।

Manual7 Ad Code

 

পরবর্তীতে সেই আমি তোমাদের মতো গুটিকয়েক গুটিবাজদের নাকের ডগার সামনে দিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তৎকালীন সময়ের সেন্ট্রাল ছাত্রদলের শ্রদ্ধেয় সিনিয়র বড় ভাই এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটির কিছু বন্ধুবান্ধব এর সহযোগিতা সহযোগিতায় ২০১৪ সালের কমিটিতে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক হই।

 

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে তোমাদের এই কাদা ছোড়াছুড়ি ও নোংরা রাজনীতির অপসংস্কৃতিকে ধিক্কার জানিয়ে আমি সিলেটের রাজপথ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ঢাকার রাজপথে বাকি সময় দিতে শুরু করি। ঢাকার রাজপথের সহযোদ্ধাদের কি একবারের জন্য হলেও জিজ্ঞেস করে দেখতে পারতে, আমি কে, আমার অবদান কি ছিল এই ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে কতটুকু ভূমিকা রেখেছিলাম।

 

Manual3 Ad Code

এই ফ্যাসিবাদী পতনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এই রাজপথেই নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করে দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম এবং সেই রাখাল রাজার সৈনিককে এভাবে সমাজের চোখে বিনা অপরাধে বিনা কারণে শুধুমাত্র নিজেদের ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে যেভাবে হেয় পনা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করিয়েছো, সেটার জবাব তোমাদের দিতেই হবে।

 

রাজপথের সৈনিককে এভাবে তুচ্ছ করে দেখে, মিথ্যা অনিবন্ধিত ভুঁইফোড় অনলাইন ও ফেসবুকে তার নামে উল্টোপাল্টা নিউজ করিয়ে তোমাদের বিপদ তোমরা নিজেরাই ডেকে এনেছো,ইনশাআল্লাহ আমি সততার সাথে সত্যের সাথে আছি এবং সকল ষড়যন্ত্র প্রতিকূলতা পেরিয়ে একদিন আমার রাজনৈতিক পরিশ্রমের সুফল পাবো ইনশাল্লাহ এবং আমি এটাই বিশ্বাস করি।