১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সৈয়দপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি পরিবারের ৩২টি ঘর পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষতি

admin
প্রকাশিত ১১ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৫ ১২:০৭:০৪
সৈয়দপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি পরিবারের ৩২টি ঘর পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষতি

Manual1 Ad Code

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি,

Manual1 Ad Code

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি পরিবারের ৩২টি ঘর পুড়ে গেছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কাশীরামপুর বেলপুকুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রম্মতর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে নগদ ২ লাখ টাকা পুড়ে যাওয়াসহ প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

Manual2 Ad Code

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃত ওসমান আলীর ছেলে সেকেন্দার আলীর বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স ও পাশের রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট এসে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ৩২টি ঘর ভস্মীভূত হয়। অগ্নিকাণ্ডে আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ধান-চাল, নগদ অর্থসহ সব ধরনের মালামাল পুড়ে যায়। দুটি গরু ও দুটি ছাগল পুড়ে মারা গেছে।

মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের টিটু বলেন, ‘আমার চারটি ঘর পুড়েছে। ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা ও একটি গরু আগুনে পুড়ে যায়। এ ছাড়া স্বর্ণালংকার, ফ্রিজ, টিভি, আসবাবপত্রসহ সর্বস্ব পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

Manual3 Ad Code

সাইদুল ইসলাম নামের একজন বলেন, ‘আমার দুটি ঘর পুড়েছে। সব মিলিয়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার রহমত হোসেন বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ এনে উদ্ধারকাজ করি। তবে জনগণের ভিড়ে কিছুটা বাধার সম্মুখীন হয়েছি। এ ছাড়া রাস্তা সরু হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু সময় লেগেছে।

Manual4 Ad Code

তিনি আরও বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের একটি ইউনিট ও সৈয়দপুরের একটি ইউনিট কাজ করে। অগ্নিকাণ্ডে শোয়ার ঘর, গোয়ালঘরসহ গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকেই। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানাতে পারব।

কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লানচু হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আগুনের ভয়াবহতায় ১৩টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কম্বল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’